সিবিএন ডেস্ক
অবশেষে বিএনপি-গণঅধিকার পরিষদের চূড়ান্ত সমঝোতা হয়েছে। দলের সভাপতি নুরুল হক নুরকে মন্ত্রিত্বসহ চারটি বিষয়ে দলটিকে আশ্বাস দিয়েছে জাতীয়তাবাদী দলটি। যদিও সমঝোতা হলেও ট্রাক প্রতীকেই নির্বাচন করবে সংগঠনটির নেতারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
তিনি বলেন, আমাদের সাথে বিএনপির সমঝোতা হয়েছে দুটি আসনের। এ ছাড়াও আমাদের দলীয় প্রধান নুরুল হক নুরকে মন্ত্রীত্ব এবং উচ্চ কক্ষে একটি আসন এবং সংরক্ষিত একটি নারী আসন দেওয়ার সমঝোতা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করব। ৩০০ আসনে আমাদের প্রার্থী থাকবে। সবাই ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে।
ঝিনাইদহ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান
বাংলাদেশ আর কখনো আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করবে না : মঞ্জু৩৪ বিজিবির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র ও উপহার সামগ্রী বিতরণ
গণঅধিকার পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল বলেন, ফ্যাসিবাদ পতনে যুগপৎ আন্দোলনের অবদানের প্রতি সম্মান জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংসদীয় আসন পটুয়াখালী-০৩ এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের আসন ঝিনাইদহ -০৪ এ কোনো প্রার্থী দেবে না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বিএনপির এই সিদ্ধান্তের জন্য বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
তিনি আরও বলেন, সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আমাদের দলীয় প্রতীক ট্রাক নিয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এটাকে নির্বাচনী জোট হিসেবে বিবেচনার সুযোগ নেই।
তথ্যমতে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপি এরই মধ্যে ২৭২টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। অন্য ২৮টি থেকে সমঝোতার মাধ্যমে শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে গতকাল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। আসন চারটি হলো সিলেট-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, নীলফামারী-১ ও নারায়ণগঞ্জ-৪। আজ আরও ১০টি আসন ছেড়ে দেওয়া হলো।
বিএনপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শরিকদের মধ্যে যারা এখনো বিএনপিতে যোগ দেননি, তাঁরা নিজ নিজ দলের প্রতীকে প্রার্থী হবেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি যেসব আসন শরিকদের ছেড়ে দিয়েছে, সেখানে দলের কেউ প্রার্থী হলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
