পেকুয়া প্রতিনিধি;
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকায় বিয়ের প্রলোভনে এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতে ভিকটিমের পিতা বাদশাহ মিয়া বাদী হয়ে প্রতিবেশী আরিফুল ইসলাম ও সমাজ সর্দার রফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পেকুয়া থানার এসআই উগ্রজাত মারমা।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে রাজাখালীর নতুনঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে ভিকটিমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
ভিকটিমের পিতা জানান, প্রতিবেশী নুরুল হুদার ছেলে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ইমুতে পরিচয় হয় তার মেয়ের। সেই সূত্র ধরে সোমবার রাতে আরিফ তাদের বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। চিৎকার শুনে তিনি ও তার স্ত্রী এগিয়ে এলে দরজা ভেঙে অভিযুক্তকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে স্থানীয়রা জড়ো হলে সমাজ পরিচালনা কমিটির সর্দার রফিকুল ইসলাম বিচার করার আশ্বাস দিয়ে আরিফকে তার জিম্মায় নেন।
বাদশাহ মিয়া অভিযোগ করেন, পরদিন সকালে সর্দার বিচারের আশ্বাস দিয়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন এবং জানান যে আরিফ পালিয়ে গেছে। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করেছেন। এ কারণে আরিফুলের পাশাপাশি সর্দার রফিকুল ইসলামকেও আসামি করা হয়েছে।
পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, “ঘটনা জানার পরপরই ভিকটিমকে উদ্ধার করে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। দুইজনের নামে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
