বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলেছেন নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগামী অক্টোবরে ঘরের মাঠে সিরিজ দিয়ে অবসর নিবেন টেস্ট থেকে। তবে ওয়ানডে খেলতে চান আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার কানপুর টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন সাকিব। সম্প্রতি তার চোট ও পারফরম্যান্স নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন উঠছিল। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে কোণঠাসা অবস্থায় আছেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া সাকিবকে একটি হত্যা মামলাতেও আসামী করা হয়েছে। এছাড়া, শেয়ারবাজার কারসাজির অভিযোগে তাকে সম্প্রতি ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
২০০৬ সালের ৬ অগাস্ট ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন সাকিব। ২০০৬ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল সাকিবের। প্রায় ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ১২৯ ম্যাচ খেলেছেন এই সংস্করণে। বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান (২৫৫১) ও উইকেটের (১৪৯) মালিক তিনি। গত জুনে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার এইটের ম্যাচটি হয়ে থাকছে তার শেষ টি-টোয়েন্টি।
২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ১৮ মে টেস্ট অভিষেক বাঁহাতি অলরাউন্ডারের। এখন পর্যন্ত ৭০ টেস্ট খেলে ৩৮.৩৩ গড়ে ৪৬০০। সেঞ্চুরি আছে ৫টি, অর্ধশতক ৩১টি। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করা সাকিব বল হাতে নিয়েছেন ২৪২ উইকেট। তিনিই অন্য দুই সংস্করণের মতন টেস্টেও দেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।