জুলাই ও আগস্টের গণহত্যায় দেশে মোট ৮৭৫ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪২২ জন বিএনপির নেতাকর্মী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই ৪২২ জনের নাম-গ্রামসহ সম্পূর্ণ তালিকা বিএনপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন , বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জুলাই গণহত্যায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে শহীদ হন ৮৭৫ জন। যার মধ্যে কমপক্ষে ৪২২ জন মানুষ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। দেশজুড়ে শহীদ হওয়া সব শ্রেণি-পেশা-রাজনীতির মানুষগুলোর বিশাল অংশ যে বিএনপির নেতাকর্মী- এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং আমাদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল।

মির্জা ফখরুল বলেন, বহু বছরের নির্যাতন, নিপীড়ন ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ছিল এই আন্দোলন। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিএনপির দীর্ঘদিনের নিরবচ্ছিন্ন পরিক্রমা। এখানে বিএনপির অবদান খাটো করার কোনো অবকাশ নেই।

তিনি বলেন, তবে আন্দোলনের কৃতিত্ব নয়, স্বৈরাচার পতন নিশ্চিত করাই বিএনপির লক্ষ্য ছিল। এই বিজয়ের পেছনে রয়েছে অসংখ্য নির্যাতিত মানুষের বেদনার অপ্রকাশিত ইতিহাস, গুম হওয়া ছেলের ফেরার প্রতীক্ষায় ব্যাথাতুর মায়ের ডাক, স্বামী হারানো বেদনাবিধূর স্ত্রীর অনন্ত আর্তনাদ, পঙ্গু বাবার জন্য সন্তানের হৃদয়বিদারক হাহাকার, আর কারাগারে বন্দী ভাইয়ের জন্য বোনের নীরব প্রার্থনা। তাদের সবার ১৬ বছরের রক্ত, শ্রম ও অশ্রু দিয়ে, প্রতিটি পরিবারের ক্ষোভ, ক্রোধ ও অব্যক্ত বিস্ফোরণ বুকে ধারণ করে; চলমান ছিল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই।