ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এক পর্যায়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খলা দেখা দেয়। তারা বিভিন্ন পোস্টার উঁচিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। থামতে বললেও কথা না শুনে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা কি ছাত্রলীগ? কোনো শৃঙ্খলা নেই। জয়-লেখক (ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) এটা কী ছাত্রলীগ। পোস্টার নামাতে বললাম তারা নামায় না। এরা কারা আমি খোঁজ নিচ্ছি। এতো নেতা স্টেজে, তাহলে কর্মী কোথায়? এই ছাত্রলীগ চাই না। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ এই ছাত্রলীগ না।

মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগুন নিয়ে খেলা শুরু হয়ে গেছে। খেলা হবে আন্দোলনে, খেলা হবে নির্বাচনে, ডিসেম্বরে খেলা হবে। আপনারা সমাবেশ করবেন সুশৃঙ্খলভাবে, মারামারি নয়। তবে পাল্টা আক্রমণ হলে আমরাও পাল্টা আক্রমণ করব কি না সেটা সময় বলে দেবে।
তিনি বলেন, গত পরশু বিআরটিসি বাস মতিঝিলে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারা জানান দিয়েছে যে, আবার তারা ফিরে আসছে। আমাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারা দিতে হবে।

কাদের বলেন, আপনাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আপনাদের পছন্দ নয়, পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে সেই জায়গা আপনাদের পছন্দ নয়। ১০ ডিসেম্বর থেকেই কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি পরিবহন ধর্মঘট হবে না। নেতারা অনুরোধ রেখেছেন আপনাদের বিভিন্ন জায়গার সমাবেশে। তবে সমাবেশের নামে যদি কোনো বিশৃঙ্খলা করা হয়, কোনো সহিংসতা করা হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেবে। তারা এখন জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে খবর আছে। অস্ত্রবাজদের মাঠে নামিয়েছে খবর আছে, আমাদের কাছে খবর আছে বস্তায় বস্তায় টাকা আসে দুবাই থেকে, টাকা আসে, হায়রে টাকা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক সিঙ্গাপুরে টাকা পাচার করেছে, খেলা হবে পাচারের বিরুদ্ধে, এখনো যারা পাচার করছে খবর আছে, যারা পাচার করছেন শেখ হাসিনা কাউকে ক্ষমা করবেন না, খবর আছে। তিনি বলেন, এখন ড. কামাল হোসেন মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন বাইরে যেতে হবে, তাই নাকি সরকার টাকা পাচার করছে। কামাল হোসেন হলেন রহস্যপুরুষ।