গুমের ঘটনায় হাসিনাসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা জড়িত থাকার অভিযোগ: এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ০১:৩৩ , আপডেট: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ০১:৩৪

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিবিএন ডেস্ক

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কয়েকজন শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা সরাসরি জড়িত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটির ‘আফটার দ্য মনসুন রেভ্যুলিউশন: এ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনা, মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুমের ঘটনায় জড়িত। জাতীয় কমিশনের গঠিত তদন্তকারী দল ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদনে জানায়, শেখ হাসিনার শাসনামলে ৩,৫০০-এর বেশি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটেছে।

এইচআরডব্লিউ দাবি করেছে, গুমের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের মতে, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা এসব বিষয়ে অবগত ছিলেন। এমনকি হাসিনা দেশ ত্যাগের পর গোপন আটক কেন্দ্র থেকে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়, যাদের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অস্বীকৃত রাখা হয়েছিল।

গুমের শিকার আইনজীবী মীর আহমাদ বিন কাসেম বলেন, তাকে যে স্থানে আটক রাখা হয়েছিল, তা ছিল ‘বন্দিদের মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ অভিজ্ঞতা’ দেওয়ার জন্য তৈরি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ভেঙে ফেলার সুপারিশ করেছে জাতীয় তদন্ত কমিশন। র‍্যাব প্রধান একেএম শহীদুর রহমান স্বীকার করেছেন, ইউনিটটির গোপন আটক কেন্দ্র রয়েছে, এবং অন্তর্বর্তী সরকার ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলে তারা তা মেনে নেবে।

এইচআরডব্লিউ অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও স্বাধীন বেসামরিক তদারকি প্রতিষ্ঠান গঠনের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়।