একাত্তর টিভি:

যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতির আওতায় সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজকে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তবে অন্য অ্যাক্টের অধীনে তাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু তিনি সাবেক সেনাপ্রধান, তাই বিষয়টি তারাই দেখবেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে মিট দ্যা রিপোর্টাসে এই কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল সেটি হচ্ছে থ্রি সি ভিসা পলিসি, যেটি ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট অব দ্য ইউএস। জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেটা হচ্ছে ৭০৩১ (সি) অব দ্য অ্যানুয়াল ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশনস, অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস এপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের অধীনে। যে ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছিল সেটির অধীনে তাকে ভিসা রেস্ট্রিকশন দেওয়া হয়নি। অন্য অ্যাক্টের অধীনে তাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিষয়টি আমাদের যুক্তরাষ্ট্র মিশনকে আগে জানানো হয়েছিল। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযো‌গের মধ্যে আছি। তাদের সঙ্গে দুর্নীতি, সন্ত্রাস দমন এবং মানবপাচারে রোধে একযোগে কাজ করছি। দুর্নীতি দমনের ক্ষেত্রেও আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।

এ নি‌ষেধাজ্ঞা নি‌য়ে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি সেনাবাহিনীর বিষয়। তাই এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না।

অপরদিকে দুপুরে সচিবালয়ে এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অনেক দেশের নাগরিককেই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে, তাই সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতি এখনো সরকারের কাছে আসেনি।

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন সাবেক সেনাপ্রধান

দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে এনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুন্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।

এতে বলা হয়, তিনি তার ভাইকে দেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটি করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দুর্নীতিতে জড়ান।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজসহ পরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাসাবেক সেনাপ্রধান আজিজসহ পরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
তিনি নিজ স্বার্থে সরকারি নিয়োগে ঘুষ নেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।