জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম-১২ আসন পটিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীকে জনতা জুতা নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে পটিয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের শান্তিরহাট এলাকায় এ জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এসময় বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাস্তায় একঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িতে থাকা পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বির্তকিত নেতা এমএ এজাজের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

বিক্ষুদ্ধ জনতা এজাজকে ইয়াবা সম্রাট বলে স্লোগান দিতে থাকেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর গাড়ি লক্ষ্য করে জনতা জুতা নিক্ষেপ করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনার সময় সড়কের দুইপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী এক ঘন্টা অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে কুসুমপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম হোছাইন রানাসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন এবং প্রার্থীকে নিরাপদে যেতে সহযোগিতা করেন।

জুতা নিক্ষেপের এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাই ফজলুল হক চৌধুরী প্রকাশ মহব্বতের (৫৬) মাথায় লাগে। গাড়ি থেকে নেমে পালানোর সময় প্রার্থীর ভাই মহব্বতকে ‘কান ধরে উঠ বস’ করান বিক্ষুদ্ধ জনতা।

এদিকে, গত ১৫ বছরে উন্নয়নের নামে হরিলুট, অনিয়ম, দখল-বেদখল বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে প্রার্থীর ভাই মহব্বতকে ‘কান ধরে উঠ বস’ করানোর মত ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আজ শনিবার সকালে গাড়িবহর নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে গণসংযোগের কথা ছিল।

গাড়িবহর নিয়ে পটিয়ার শান্তিরহাটের জিরি মাদ্রাসা গেইট এলাকায় পৌছালে সড়কের দুই পাশ থেকে নারী পুরুষ জুতা নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় সামশুল হক চৌধুরী সড়কে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা এজাজের বাড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থী যাওয়ার খবর পেয়ে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ জনতা উত্তেজিত হয়ে জুতা নিক্ষেপের মত ঘটনা ঘটায়।

কুসুমপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম হোসাইন রানা বলেন, শনিবার সকালে শান্তিরহাটে নৌকা সমর্থিত কার্যালয়ে মহিলা কর্মী সভা চলছিল। সভা চলাকালীন সময়ে অদূরে মাদ্রাসা গেইট এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সড়কে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে নিরাপদে পৌছাতে সহযোগিতা করি।

এর আগে বির্তকিত নেতা এজাজকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবিতে জুতা নিক্ষেপ করেছে বলে শুনেছি। এসময় পুলিশের সহযোগিতায় রাস্তা থেকে ব্যারিকেটসহ উত্তেজিত জনতাতে নিবৃত্ত করি।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি। তবে কাউকে আমরা পাইনি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।