নিজস্ব প্রতিবেদক
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে দিবসটি ঘিরে যৌথভাবে নানা কর্মসূচির আয়োজন করে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA), হেলথ সেক্টর কক্সবাজার ও SRH ওয়ার্কিং গ্রুপ কক্সবাজার।
সকালে ‘মিডওয়াইফ মেলা’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মেলায় বিভিন্ন স্টলে দক্ষ মিডওয়াইফদের ভূমিকা, গর্ভবতী মা ও নবজাতকের সুরক্ষা, প্রসবকালীন সেবা ও সচেতনতামূলক নানা বিষয় তুলে ধরা হয়।
পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা কক্সবাজারের উপপরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ ফাহিম আহমাদ ফয়সাল, হেলথ কো-অর্ডিনেটর ডা. আবু তোহা মো. রেজাউল হক ভূঁইয়া, অ্যাসিস্ট্যান্ট হেলথ কো-অর্ডিনেটর ডা. মো. সারওয়ার জাহান, UNFPA-এর SRH টিম লিড কেরোলিন নালাগুওয়া, ইউনিসেফের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কে. এম. ইশতিয়াক সায়েদ, IOM-এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ডা. জেমস চার্লস ওকেলো, UNHCR-এর পাবলিক হেলথ অফিসার ডা. ভিনসেন্ট এবং ডা. মোমতাহিনসহ অনেকে।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু রোধে দক্ষ মিডওয়াইফদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন মিডওয়াইফ গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে প্রসব পরবর্তী সময়ে মা ও নবজাতকের যত্ন, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, যোগাযোগ দক্ষতা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্মনিয়ন্ত্রণ, বাল্যবিয়ে ও বহু বিবাহ রোধে মিডওয়াইফদের অবদান প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি, এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও মিডওয়াইফরা অংশ নেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
