সিবিএন ডেস্ক
বেতন বৈষম্য নিরসন ও তিন দফা দাবিতে ‘কলম বিসর্জন কর্মসূচি’ পালন করতে শাহবাগে অবস্থান নিতে গেলে প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষকরা শাহবাগের দিকে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় অনেক শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আশ্রয় নেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে বহু শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো—
- সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা,
- ১০ ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান
- শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম এবং ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এতে সহকারী শিক্ষকরা বাদ পড়ায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ‘ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে আরেকটি অংশ একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছে। দাবি না মানলে তারা ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়া ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবিতে অগ্রগতি না হলে পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে শিক্ষকরা।
