ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও জিম্মি মুক্তি শিগগিরই

প্রকাশ: ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:১৯ , আপডেট: ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ০১:২০

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


সিবিএন ডেস্ক

ওয়াশিংটন: দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে উভয় পক্ষ স্বাক্ষর করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে (Truth Social) এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

বুধবার ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা বার্তায় ট্রাম্প বলেন,

“আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ইসরায়েল ও হামাস উভয়েই আমাদের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাক্ষর করেছে। খুব শিগগিরই সব জিম্মি মুক্তি পাবে এবং সমঝোতার ভিত্তিতে ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।”

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী কাতারও যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন,

“আমরা (মধ্যস্থতাকারীরা) ঘোষণা করছি যে আজ রাতে গাজায় শান্তি স্থাপনের নতুন পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের সব শর্ত ও বিধান বাস্তবায়নে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটবে, সব ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিরা মুক্তি পাবে এবং ত্রাণ সরবরাহে আর কোনো বাধা থাকবে না।”

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। সে সময় তার পাশে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সেদিন ট্রাম্প জানান, তার প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা ইসরায়েল, হামাস, মিসর ও কাতারের কাছে পাঠানো হয়েছে, যেখানে হামাস ছাড়া সবাই সম্মতি জানিয়েছে। পরবর্তীতে ৩ অক্টোবর হামাস পরিকল্পনায় সম্মতি দেয় এবং ৪ অক্টোবর ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধের আহ্বান জানান।

এরপর ৬ অক্টোবর, মিসরের শারম আল শেখে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, হামাস, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর অবশেষে ইসরায়েল ও হামাস ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে স্বাক্ষর করে।

বৈঠকের অগ্রগতির বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন,

“আমি যতদূর শুনেছি, আলোচনা খুব ভালো দিকে এগোচ্ছে। এটা চমৎকার। এ সপ্তাহের শেষ দিকে আমি মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পারি, সম্ভবত রোববার।”