নিজস্ব প্রতিবেদক;
কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার মাঝের ঘাট এলাকায় অবৈধ পলিথিন কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এসময় কারখানার মালিক ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসানকে ২ লক্ষ জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার অবৈধ পলিথিন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদ পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসানের অবৈধ পলিথিন কারখানায় অভিযান চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসানসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম এসে ২ লক্ষ জরিমানা করেন। জরিমানা দিয়ে ছাড় পান আটক ৩ জন। এসময় ওই কারখানা থেকে অর্ধকোটি টাকার বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন জব্দ করে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম বলেন, অভিযানের খবর পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসময় অবৈধ পলিথিন কারখানার মালিক কামরুল হাসানকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে জেল দেওয়া হয়। পরে জরিমানা দিয়ে কারখানাটির মালিক ভবিষ্যতে অবৈধ পলিথিন বিক্রি করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পান।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাইফুল ইসলাম সাইফ। তিনি বলেন, এই কারখানা থেকে জেলাজুড়ে পলিথিন বিস্তার হতো। পলিথিনের অবৈধ বাজারজাত বন্ধ করতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩ ট্রাকের বেশি অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, অবৈধ পলিথিন জব্দের খবরে পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম যায়। এসময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়।
অভিযোগ উঠে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাওয়ার পর জব্দ করা প্রায় অর্ধেক পলিথিন কারখানা থেকে বের করা হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের কর্মচারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমের যোগসাজশে কারখানার লাইট বন্ধ করে দিয়ে পলিথিনগুলো নিরাপদে সরিয়ে ফেলে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে বিপুল লোকসান থেকে কৌশলে রক্ষা করা হয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। র্যাবের অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন কারসাজি করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলম।
উল্লেখ্য: পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের কর্মচারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অন্যতম হোতা। গত ১৮ আগস্ট গুণ গাছ তলা এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলাতেও তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। এছাড়া জেলা বিএনপি অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সময়ও তাঁকে দেখা যায়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।