অনলাইন ডেস্ক: যাত্রা শুরুর মাত্র ২৭ দিনে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ১ কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজার টাকা আয় করেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, প্রথম মাসে (২৭ দিন) কক্সবাজার এক্সপ্রেসে অনলাইনে ও অপলাইনে এসি ও ননএসির ২৮ হাজার ৬২০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে, যা থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন ২ লাখ মানুষ অনলাইনে টিকিটের জন্য চার্জ করেন। তবে চাহিদার তুলনায় আসন কম। তাই আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন আরও দুইটি ট্রেন সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, প্রতিদিন ২ লাখ লোক কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্যে অনলাইন সার্ভারে ক্লিক করে। তবে কালোবাজারির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, অচিরেই আইডি কার্ড যার টিকিট তার এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে স্ক্যানার বসানো হবে কক্সবাজার রেল স্টেশনে।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতিসীমা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দফা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সফল কার্যক্রম শেষে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রেল সংযোগ উদ্বোধনের সময় ডিসেম্বর থেকে দুইটি ট্রেন চালুর নির্দেশ দেন।
কক্সবাজার এক্সপ্রেসে মোট ২০টি কোচ রয়েছে। আসন আছে ১ হাজার ১০টি। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ৬৯৫ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা ও এসি বার্থের ভাড়া (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ২ হাজার ৩৮০ টাকা। তাছাড়া, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ভাড়া ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ৪৬৬ ও এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।
