অনলাইন ডেস্ক: কক্সবাজারে পর্যটক নারীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ মামলায় আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে কক্সবাজার পর্যটন পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটতমকে তিনি বলেন, এই পাঁচজনের মধ্যে দুইজন এজাহারভুক্ত আসামি। অন্য তিনজনকেও আটকের পর গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তাদের বিষয়ে পরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে কক্সবাজারের জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিয়াজ এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে পাঠায়।

২৫ বছর বয়সী ওই নারীর অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে তাকে তুলে নেয়। তার স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে ‘কয়েক দফা ধর্ষণ করে’ তিনজন।

পরে খবর পেয়ে জিয়া গেস্ট ইন নামের এক হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাব।

পরদিন ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও তিনজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিনকে।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আশিকুল ইসলাম আশিক, একই এলাকার মো. শফিউদ্দিন শফির ছেলে ইসরাফিল হুদা জয় ও আবুল কাশেমের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু এবং কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর জসিম উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন ছোটন।

শুক্রবার সকালে ট্যুরিস্ট পুলিশ ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিকালে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তাজনীনের আদালতে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি সেদিন বলেন, আশিকের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদকসহ নানা অপরাধে ১৬টি মামলা রয়েছে। একটি ছিনতাই মামলায় তিনি গত ১৬ ডিসেম্বর জামিনে কারাগার থেকে বের হন।

“আশিকের নেতৃত্বে অপরাধীদের সংঘবদ্ধ একটি চক্রও এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত। ঘটনায় আশিকের অন্যতম সহযোগী ইসরাফিল হুদা জয় একজন চিহ্নিত অপরাধী। জয়ের নামেও হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। সেও একাধিবার গ্রেপ্তার হয়েছিল। মামলার অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও নানা অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।”
-বিডিনিউজ