আব্দুস সালাম, টেকনাফ
মাদক ও অপহরণ দমনে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের গহীন পাহাড়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানে র্যাব, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও বনবিভাগের পাঁচ শতাধিক সদস্য অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৩টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী জুম্মাপাড়া পাহাড়ি এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ কামরুল হাসান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “কক্সবাজার একটি অপরাধপ্রবণ জেলা। এখানে মাদক চোরাচালান ও অপহরণ প্রায়শই ঘটে থাকে। গত তিন মাসে জেলায় প্রায় ৪০টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৩০টির বেশি ঘটেছে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায়।”
র্যাব অধিনায়ক আরও জানান, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী অপহরণকারীরা সাধারণত ভিকটিমদের উখিয়ার জালিয়াপালং, শামলাপুর, কুটুমগুহা এবং টেকনাফের রঙ্গিখালী, আলীখালী ও জালিয়াপাড়া এলাকার গহীন অরণ্যে আটকে রাখে। দুর্গমতা ও নজরদারির অভাবে সন্ত্রাসীরা এসব এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, “এই গহীন এলাকায় সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে এবং মাদক রুট বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণে পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযানে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত কয়েকটি টংঘর ও অস্থায়ী কটেজে তল্লাশি চালিয়ে ২,০৫০ পিস ইয়াবা, ১০ গ্রাম গাঁজা, ২টি এলজি, ১টি শুটারগান, ১১ রাউন্ড গুলি, ১টি অস্ত্রের যন্ত্রাংশ, ৪টি রামদা, ২টি ছুরি, ১টি চাকু ও ৩টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।”
অভিযানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, “অভিযান পরিচালিত এলাকাগুলোতে যেন পুনরায় সন্ত্রাসীরা ঘাঁটি গড়তে না পারে, সেজন্য নিয়মিতভাবে অভিযান চালানো হবে।”