সিবিএন ডেস্ক ;
মহেশখালীর ধলঘাটায় গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকার উন্নয়নকাজে নাশকতার ঘটনায় বাচ্চু চেয়ারম্যান ও ধলঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক পুতুসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঘটনাস্থলে লুটপাট ও যন্ত্রপাতিতে আগুন দেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
ঘটনার পরদিন রাতে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের যৌথ অভিযানে ধলঘাটার মুহরীঘোনা এলাকায় ৬ জলদস্যুকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১২ রাউন্ড গুলি, ২৩টি দেশীয় অস্ত্র এবং নগদ এক লাখ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। কোস্ট গার্ডের দাবি, আটককৃতরা ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ধরা পড়ে।
কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, ধলঘাটা এলাকার কলিমউল্লাহ বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছিল। জমিদখল, চাঁদাবাজি এবং সরকারি সম্পদ ধ্বংসের সঙ্গে তারা জড়িত ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হয়। আটক জলদস্যুদের মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নাশকতার ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির তদন্ত চলছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের পরিচালক জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং দ্রুতই অপরাধীদের শনাক্ত করা হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চু এবং ধলঘাটা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম পুতুকে উল্লেখ করা হয়েছে।