আব্দুস সালাম, টেকনাফ;
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় কোস্টগার্ডের সঙ্গে গোলাগুলিতে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। এ সময় ১০ হাজার পিস ইয়াবা, তিনটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং তিন রাউন্ড তাজা গুলিসহ ১৬ জন ডাকাত ও মাদক পাচারকারীকে আটক করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার বিএন মো. সিয়াম উল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে তথ্য পাওয়া যায় যে মিয়ানমার থেকে একটি বড় মাদক চালান শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন সমুদ্রপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বিসিজি স্টেশন টেকনাফ ও বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরী যৌথভাবে সমুদ্র এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়।
অভিযানের সময় মিয়ানমারের মংডু নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে একটি বড় ইঞ্জিনচালিত ফিশিং বোট বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। কোস্টগার্ড সদস্যরা বোটটিকে থামার সংকেত দিলে সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা কোস্টগার্ডের দিকে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে এবং বোটটিকে অকেজো করতে কোস্টগার্ড সদস্যরা বোটের ওয়াটারলাইন ও ইঞ্জিনরুম লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বোটটি থেমে যায় এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা বোটটি আটক করতে সক্ষম হয়।
পরে বোটে তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, তিনটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, তিন রাউন্ড তাজা গুলি এবং ১৬ জন ডাকাত ও মাদক পাচারকারীকে আটক করা হয়। এ সময় বোটের ইঞ্জিনরুম থেকে এক পাচারকারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আটক ডাকাত ও মাদক পাচারকারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা মিয়ানমার থেকে মাদকদ্রব্য পাচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসছিল। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা বিপুল পরিমাণ মাদক সমুদ্রে ফেলে দেয়। ওই মাদক উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মাদক পাচারে ব্যবহৃত বোটটি জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং আটক আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা জানান।
