আব্দুস সালাম, টেকনাফ;

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিজিপি সহ মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ১২৩জন সদস্যকে বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ১২৩ জন মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে বিজিপির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার রিজিয়ন সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান,বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কক্সবাজারের টেকনাফ-নাজিরপাড়া-সাবরাং ও শাহপরীরদ্বীপ এলাকার বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেদেশের সামরিক জান্তা সরকার ও তাদের সশস্ত্র বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাত প্রকট আকার ধারণ করায় গত ১১ জুন ১৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ১২৪ জন (বিজিপি-১০৯ এবং সেনা-১৫) সদস্য প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং বিজিবি’র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে। বিজিবি তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করত: বাসস্থান, খাবার, পোশাক ও চিকিৎসাসেবাসহ নিরাপত্তা প্রদানের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আশ্রয়গ্রহণকারী সদস্যদের একজন বিজিপি সদস্য (LA-249245, Police Lance Corporal Kzaw Nanda No-(4) BGP Branch) গত ০৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় Septic Shock due to Chronic Liver Disease and Alcoholic Cirrhosis রোগ জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর উক্ত বিজিপি সদস্যের মৃতদেহ মিয়ানমার দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সর্বোচ্চ মর্যাদায় যথাযথ ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণপূর্বক রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার শ্মশান ঘাটে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি হতে সেপ্টেম্বর ২০২৪ মাস পর্যন্ত মায়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সর্বমোট ৮৭৫ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারি ২০২৪ হতে জুন ২০২৪ পর্যন্ত তিন ধাপে ৭৫২ জন সদস্যকে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে নিজ দেশে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।