শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কুতুবদিয়ায় নেই বিদ্যুৎ, নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। একই সঙ্গে উপজেলার আজম সড়কেই উপড়ে পড়েছে অন্তত শতাধিক গাছ। সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে বৈদ্যুতিক তার। উপজেলায় ছয় ইউনিয়নে ৫’শ ৫৭টি সম্পূর্ণ ও আংশিক ৩ হাজার ৪টি ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দুই ইউনিয়নে বড়ঘোপ ও আলী আকবর ডেইল।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন কুতুবদিয়ায় আঘাত হানে। ফলে, উপজেলায় মানুষের ঘরবাড়ি, গবাদিপশুর মৃত্যু ও দেয়াল এবং গাছ পড়ে ১৮ জন আহত হয়েছে।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে এ পর্যন্ত ১৮ জনের আহতের খবর পেয়েছি। উপজেলার সড়কে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ভেঙ্গে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় দ্বীপের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৯২ হাজার ৩’শ সাতজন মানুষ হামুনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩ হাজার ৪টি বাড়ি আংশিক এবং ৫৫৭টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

সরেজমিনে বুধবার সকালে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে সড়কের উপর আছড়ে পড়া গাছ সরাচ্ছেন স্থানীয়রা। এছাড়া কেউ কেউ বসতঘর ও ঘেরা ভেরা মেরামত করছে।

এদিকে,আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিকদার জানান, বাতাসের তাণ্ডবে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের অন্তত ২ শতাধিক ঘর ভেঙে গেছে। দুইজন আহত হয়েছে এবং ১নং ওয়ার্ডের হাসিনা বেগমের একটি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, উপজেলায় বেশি ক্ষতি হয়েছে দুইটি ইউনিয়নে বড়ঘোপ এবং আলী আকবর ডেইল। ক্ষতিগ্রস্তদের
তালিকা তৈরী করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, কৃষি খাতে আমন ধান ৫০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্যদিকে,শরৎকালীন সবজি ও শীতকালীন সবজি ৩৫ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানান।