এম.এ আজিজ রাসেল:
ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ৫ দিনের শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে প্রতিটি পূজা মণ্ডপকে। সনাতনী সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে মণ্ডপগুলো। আনন্দ—উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা উদযাপনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজারে ১৫১টি পূজামণ্ডপে ঢাকের বাদ্য, উলুধ্বনি, শঙ্খ বাজিয়ে ষষ্ঠী পূজার অঞ্জলি দেন ভক্তরা। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস। এসময় শহরের গোলদিঘির পাড়স্থ ইন্দ্রসেন দুর্গা বাড়িতে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কক্সবাজার ৩ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ নজিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, “শারদীয় উৎসবে মুখরিত সমগ্র বাংলাদেশ। সামনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে যেমন একটা সংকট তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে,এই জায়গাটায় সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় আছে।”
ইন্দ্রসেন দুর্গা বাড়ির বিপুল সেন ও সভাপতি মিঠুন নন্দী বলেন, “বেলতায় ঘট স্থাপন ও ষষ্ঠী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ভক্তরা অঞ্জলি দেন। শারদীয় দুর্গোৎসব সত্য—সুন্দরের আলোকে ভাস্বর হয়ে উঠুক, ধর্ম—বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দে্যর বন্ধন আরো সুসংহত হোক।”
উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার মহাসপ্তমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। রোববার মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে এবং বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে রাত ৮ টা ৬ মিনিটে। সোমবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে শুরু হবে নবমী পূজা। আগামি ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপি এ উৎসব।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর ও সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ বলেন, কক্সবাজারে ১৫১টি প্রতিমা ও ১৬৪টি ঘট পূজা মিলিয়ে জেলায় ৩১৫টি মণ্ডপে পূজা হবে। পূজা শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে প্রতিটি পূজামণ্ডপে ২০ জন করে মোট ৩ হাজার ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ২৪ অক্টোবর সৈকতে বিজয়াদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বৃহৎ এই উৎসব শেষ হবে। বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি বিপ্লব বড়–য়া।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে, দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে কৈলাশ থেকে মর্ত্যালোকে এসেছেন। এতে প্রাকৃতক বিপর্যয়, রোগ শোক হানাহানি মারামারি বাড়বে। অন্যদিকে তিনি বিদায়ও নেবেন ঘোড়ায় চড়ে। যার ফলে জগতে মড়ক ব্যাধি এবং প্রাণহানির মত ঘটনা বাড়বে।
