আব্দুস সালাম,টেকনাফ:
কক্সবাজারের উখিয়ায় যৌথ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরসার গ্রুপ কমান্ডারসহ সক্রিয় পাঁচ সদস্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,গত রবিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে র‌্যাব-১৫, এপিবিএন-৮ ও ১৪ ও কক্সবাজার জেলা পুলিশের আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবগত হয়ে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘আরসা’র সন্ত্রাসী সদস্য বিভিন্ন হত্যা ও পুলিশ লাঞ্ছিত মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী
১৮ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক-এল/৩,-১৮ এর মৃত সোনা আলীর ছেলে ডাঃ রফিক (৫৪)(এফডিএমএন),একই ক্যাম্পের ব্লক-এল/১১ এর অছির রহমানের ছেলে মোহাম্মদ রফিক (২০)(এফডিএমএন),১২ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক-এইচ/৭ এর মোঃ ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ রফিক (২১)(এফডিএমএন),একই ক্যাম্পের ব্লক-এইচ/১৩ এর রবিউল্লাহর ছেলে নুরুল আমিন (৩৪)(এফডিএমএন),৫ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক-ডি/৯ এর মৃত আবুল বাসেদের ছেলে খায়রুল আমিন (৩২)(এফডি এমএন)
কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামী ডাঃ রফিক এআরএসএর একজন সক্রিয় গ্রুপ কমান্ডার এবং এআরএসএর আহত সদস্যদের চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করে থাকতে বলে জানা যায়। তাছাড়াও গ্রফেতারকৃত ডাঃ রফকি ক্যাম্পে শাহাব উদ্দিন হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি, তাহার বিরুদ্ধে উখিয়া থানার মামলা নং-০১, তারিখঃ-০১/১২/২০২২ খ্রিঃ পেনাল কোড ১৮৬০ সালের ৩০২/৩৪ ধারা, ২। মোহাম্মদ রফিক(২০) এআরএসএর জিম্মাদার ক্বারী রফিকের তথ্যদাতা ও দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করে ও হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী, তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানার মামলা নং-২২, তারিখঃ-০৭/১০/২০২২ খ্রিঃ পেনাল কোড ১৮৬০ সালের ১৪৩/৩২৬/৩০৭/৩০২/৪২৭/৫০৬/৩৪ ধারা, ৩। মোহাম্মদ রফিক (২১) এআরএসএ জিম্মাদার আলী জোহরের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করে। তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানার মামলা নং-১৪, তারিখঃ-০৫/১০/২০২২ খ্রিঃ পেনাল কোড ১৮৬০ সালের ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩৩২/৩৫৩/৩০৭/ ৪২৭/৫০৬(৪)/৩৪ ধারা, ৪। নুরুল আমিন এআরএসএ সদস্য ও তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। বর্ণিত ব্যক্তি পুলিশ লাঞ্ছিত মামলার এজাহার নামীয় আসামী, তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানার মামলা নং-১৪, তারিখঃ-০৫/১০/২০২২ খ্রিঃ পেনাল কোড ১৮৬০ সালের ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩৩২/৩৫৩/৩০৭/৪২৭/৫০৬ (৪)/৩৪ ধারা এবং ৫। খায়রুল আমিন একজন সক্রিয় এআরএসএর সদস্য ও মোঃ হোসেন, মোঃ জোহর হত্যা মামলার আসামী।
তার বিরুদ্ধে উখিয়া থানার মামলা নং-৯৬, তারিখঃ-৩০/১০/২০২২ খ্রিঃ পেনাল কোড ১৮৬০ সালের ৩০২/৩৪ ধারায়* মামলা রয়েছে।

তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত আসামীগনদের পূর্বের মামলা মোতাবেক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।