নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালীতে কলিম উল্লাহ নামক একটি আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থা (আইএনজিও) কর্মীকে অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক কারবারী ও অপরাধীচক্র।
স্থানীয়দের বাধার মুখে কলিম উল্লাহকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে যায় চিহ্নিত চক্র।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রঙ্গিখালী মাদ্রাসা গেইট সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত কলিম উল্লাহ রঙ্গীখালী গাজী পাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা ও চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী শাহ আজম সরকার তার সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীসহ কলিম উল্লাহকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে পালিয়ে যায় অপহরণকারী চক্র। ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার নেতৃত্বদাতা শাহ আজম সরকার আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। সে স্থানীয় জামাল হোসেন মেম্বারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, অস্ত্র ও ইয়াবাসহ নানা অভিযোগ ১০টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। সেখানে অধিকাংশ মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেছে এলাকাবাসী।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশের দুটি টিম পৌঁছেছে। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মাদক কারবারীসহ সব ধরনের অপরাধীর বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আজম সরকার ও তার পিতা জামাল হোসেন মেম্বার মাদক কারবারচক্রের গডফাদার। তাদের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটের হাত ধরে সীমান্ত শহর টেকনাফে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও চোরাচালানের বিস্তৃতি ঘটেছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা পালিয়ে গেলেও বীরদর্পে অপরাধকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে শাহ আজম সিন্ডিকেট। জিম্মি করে রেখেছে সাধারণ মানুষকে। মাদকের ভেন্ডার ও অপরাধীচক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ভুক্তভোগীদের।
মাদক কারবারী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আজম সরকারের বিরুদ্ধে মামলার প্রাথমিক তথ্য:
১. জি আর মামলা নং- ৩৪৮/২০১৮ইং (টেকনাফ), টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং- ২৬, তারিখ:- ১৫/০৭/২০১৮ইং, ধারা:- ৩৬৪/৩০২/২০১/৩৪ দঃবিঃ
২. জি আর মামলা নং- ৪১৩/২০২১ইং (টেকনাফ), টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং- ৯৬, তারিখ:- ২৩/০৫/২০২১ইং, ধারা:- ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১০(গ)/৪১
৩. জি আর ৬১৯/২০১৭ইং (টেকনাফ), টেকনাফ থানার মামলা নং- ৬৩, তারিখ:- ২৬/০৭/২০১৭ইং, ধারা:-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৩৮০ দঃবিঃ
8. টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং- ২৬, তারিখ:- ১৫/০৭/২০১৮ইং, ধারা:- ৩৬৪/৩০২/২০১/৩৪ দঃবিঃ
৫. টেকনাফ থানার মামলা নং- ৪৮, তারিখ:- ১০/১১/২১৮ইং, ধারা- ১৮৭৮ ইং সনের অস্ত্র আইনের ১৯এ/১৯ (এফ)
৬৷ টেকনাফ থানার মামলা নং- ৪৯, তারিখ:- ১০/১১/২০১৮ইং, ধারা:- ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর ৯ (খ)/২৫,
৭. টেকনাফ থানার মামলা নং- ৫০, তারিখ:- ১০/১১/২০১৮ইং, ধারা:- ১৮৬/৩২৩/৩৩৩/৩৫৩/৩০২/৩৪ দঃবিঃ
৮. সিএমপি বায়েজিত বোস্তামী থানা মামলা নং- ২০, তারিখ: ১০/০৮/২০১৭ইং, ধারা:- ২০১২ সালের মানি লডারিং প্রতিরোধ আইন ০৪ (২)
৯. জি আর ৮৮৫/২০২৩ইং (টেকনাফ), টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং- ৫৮, তারিখ:- ২৩/১২/২০২৩ইং, ধারা- ১৮৭৮ ইং সনের অস্ত্র আইনের ১৯এ/১৯ (এফ)
১০. জি আর ৮৮৬/২০২৩ইং (টেকনাফ), টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং- ৫৯, তারিখ:- ২৩/১২/২০২৩ইং, ধারা- ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১০(গ)/৪১
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।