গত ১৫ নভেম্বর দৈনিক আজকের দেশ বিদেশ ও সকালের কক্সবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত “বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ইয়াবা মামলার আসামী ফোরকান” শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। মূল কথা হলো আমি দীর্ঘ ২৫ বছর জাতীয়তাবাদী দলের রাজনৈতিক আদর্শকে বুকে ধারণ করে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সাথে মিলে মিশে রাজনীতি করে আসছি। যার ফলে স্থানীয় এমপি কমলের রোষানলের স্বীকার হয়ে অনেক চিহ্নিত ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানী করা হয়েছে।
এর পরেও আমি কখনো দলের আদর্শ থেকে তিল পরিমাণ পিছিয়ে যায়নি। একটি বিষয় পরিস্কার করে বলতে চাই যে সব মামলায় আমি গ্রেফতার হয়েছিলাম এসব রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মূলক মামলা হওয়ায় দল আমার বিরোদ্ধে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এতসব জুলুম নির্যাতনের পরেও আমি বিভিন্ন সময়ে দলের নেতাকর্মীদের আর্থিক অনুদানসহ নানা ভাবে সহায়তা দিয়ে দলের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি আমি ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন বিএনপি’র একটি পদের প্রত্যাশি হওয়ায় বর্তমানে আমার দলের সুসময়ের রজনৈতিক ফায়দা প্রত্যাশি দুইজন ব্যাক্তি আমার পেছনে নানা ষড়যন্ত্রের নোংরা খেলায় মেতে উঠে। যার ধারা বাহিকতায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা ভিত্তিহিন বানোয়াট একটি সংবাদ পরিবেশন করান। এতে শুধু আমি নয় ষড়যন্ত্রকারীরা আমার দলের ভাবমুর্তিও চরম ভবে ক্ষুন্ন করেছে।
যে দুই ষড়যন্ত্রকারী আমার বিরোদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাতে মগ্ন রয়েছে তাদের একজন হলেন রামুর চিহ্নিত রাজাকারপুত্র রাজনৈতিক সুবিধাবাদী ব্যক্তি। যার বিরোদ্ধে এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষকে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার তথ্য প্রমাণ রয়েছে। এছাড়াও এই ব্যক্তির বিরোদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে এবং হাসিনা পতনের পর দিন দলবল নিয়ে রামু কলেজ গেইট এলাকায় বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করার প্রমাণসহ অভিযোগও রয়েছে এই ব্যক্তির বিরোদ্ধে। এছাড়াও তার আচরণ ও চরিত্র কি রকম তা রামুর মানুষের কাছে ভালো করেই জানা রয়েছে। এদিকে অপরজন রামু উপজেলা বিএনপির সিনিয়র পদধারী নেতা, যেই নেতা দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের বি টিম হিসেবে রামুতে কাজ করেছেন। শুধু তাই নয় এই নেতার একপুত্র ছিলো বিকাশ এমপি কমলের অন্যতম ক্যাডার। যার হামলা থেকে রামু উপজেলা বিএনপি যুবদল, ছাত্রদলসহ অংগ সংগঠনের এমন কোন নেতা কর্মী বাদ যায়নি। বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে সফরকালীন সময়ে প্রকাশ্যে লম্বা কিরিচ নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যানার ফেস্টুন নিচ্ছিন্ন করার দৃশ্য এখনো আমার চোখে ভাসমান। যা রামুর মানুষ এখনো ভুলে যায়নি। এসব নেতারা যখন আমার দলের মিটিংয়ে বক্তব্য দেয় তখন অসংখ্য সাধারণ মানুষ ট্রল করতে দেখা যায়। এদিকে আমার বিরোদ্ধে তাদের যোগসাজশে ষড়যন্ত্র করার মূল কারন হলো আমি ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন বিএনপি কমিটির একজন পদ প্রত্যাশি বলে। আর আমার বিরোদ্ধে যে সব মামলা দিয়ে আমাকে জেলে দেওয়া হয়েছে একমাত্র বিএনপি রাজনীতি করার কারনে এমপি কমলের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছি। আমি মনে করি আমাদের দলে পদ পদবীর প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। কিন্তু মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত মুলক সংবাদ পরিবেশন করে মানহানি করা কোন ভালো বংশের জন্মগত সন্তানের পরিচয় বহন করেনা। এছাড়াও আমার বিরোদ্ধে চাঁদাবাজিসহ যে সব অভিযোগ সংবাদে এনেছেন তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন
আমি খুব শীঘ্রই এই সংবাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো ইনশাল্লাহ। পরিশেষে এই বানোয়াট অবান্তর ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানিয়ে কাউকে এই ভুঁয়া সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার বিনীত অনুরোধ করিছি।
প্রতিবাদকারী
ফোরকান উল্লাহ
পিতাঃ মোহাম্মদ আলম।
সাতঘড়িয়া পাড়া, ফতেখাঁরকুল, রামু।
