অনলাইন ডেস্ক: কক্সবাজারের উখিয়ায় র‍্যাব ও পুলিশের গুলিতে আহত বিএনপির এক নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। এই হত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার কক্সবাজারে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি। কক্সবাজার জেলা বিএনপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে পুলিশ বলছে, গুলিতে আহত কারও মৃত্যুর বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য নেই।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত ৫ নভেম্বর রাতে উখিয়া উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর বাসায় র‍্যাব, পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী কর্মীরা যৌথভাবে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে ঘর ভাঙচুর করে এবং গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালায়। এতে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী আহত হন।

আহতদের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতা জাগির হোসেন (৩৭) আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহত জাগির হোসেন উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্নাশিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলমের ছেলে এবং বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ডসহ সাংগঠনিক সম্পাদক।

এ ঘটনার প্রতিবাদে কক্সবাজার জেলায় আগামীকাল বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেয় দলটি। বিবৃতিতে নেতারা জানান, কক্সবাজার জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন। এ ছাড়া গত ২৮ অক্টোবরের পরে বিভিন্ন থানায় মামলা দিয়ে ৫৫ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।

জাগির হোসেনের ভাতিজা শিহাব উদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গুলিতে কেউ হতাহত হয়েছে কি না জানি না। তবে গত রোববার রাতে র‍্যাবের একটি টহল দলের ওপর উখিয়ার পাইন্নাশিয়া এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে র‍্যাব বাদী হয়ে ৪২ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে একটি মামলা করেছে।’ নিহতের বিষয়টি তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানান।

র‍্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এএইচ সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত রোববার রাতে পাইন্নাশিয়া এলাকায় র‍্যাবের টহল দলের ওপর নাশকতা সৃষ্টিকারী একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এতে র‍্যাবের কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় র‍্যাবের এক সদস্য বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা করেছেন।

কিন্তু ওই দিন ঘটনার সময় স্থানীয় কেউ আহত হওয়ার কোনো তথ্য ছিল না। এমনকি উখিয়া থানার পুলিশের কাছেও হতাহতের ঘটনা কেউ অবহিত করেনি। ঘটনার দুদিন পরে রোববারের ঘটনায় একজনকে মৃত্যু দাবি করার বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
– আজকের পত্রিকা