আব্দুস সালাম, টেকনাফ :
কক্সবাজারের টেকনাফে রহস্যজনকভাবে একটি জুস পান করে একই পরিবারের শিশুসহ ৮জন অসুস্থ হয়েছে।
রবিবার (৫ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এরা হলেন হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদারপাড়ার আব্দু রহিমের শিশু কন্যা নাজমা মনি (৯), মো. রামিম (৭) রানিয়া মনি (৫), রাফিয়া মনি (৩), আবু বক্করের কন্যা সেলিনা আক্তার (২১), নাসিমা আক্তার (১৮), মো. জালালের ছেলে জিসান (৩) মো. জসিমের ছেলে শাওন (২)। এরা সবাই একই পরিবারের।
অসুস্থদের পিতা আব্দু রহিম জানান, বাড়িতে প্রাণ ম্যাংগু জুস নিয়ে বেড়াতে আসেন জনৈক ব্যক্তি।
জুসটি পান করা মাত্রই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত গতিতে তাদের উপ স্বাস্থ্য- কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে অসুস্থদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
আগত জনৈক লোককে আব্দু রহিম সন্দেহ করে বলেন, যারা জুস খেয়েছে তারা অসুস্থ হয়েছে, বাকি দুইজন না খাওয়াতে তারা অসুস্থ হননি। অথচ জুসের মেয়াদও রয়েছে। তাই আগত মানুষটিকে সন্দেহ করেন, তবে তার নাম জানাননি তিনি। বর্তমানে হাসপাতালে অনেকের জ্ঞান ফিরেছে। বাড়িতে ফিরে বড় ভাই ও অন্যান্যদের সাথে পরামর্শক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বিষয়টি অবগত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ দিকে জুস বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মালিক না থাকায় দোকানের কর্মচারী মহিউদ্দিন এর কাছে জুসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এ পর্যন্ত জুস পান করে কোন অভিযোগ আসেনি, জুসের মেয়াদও রয়েছে। সকাল থেকে অনেক জনকে আমরা জুস পান করিয়েছি কোনো ধরণের সমস্যা হয়নি।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশিকুর রহমান জানান, জুস পান করে ভর্তি হওয়া শিশুসহ ৮ জনই আশঙ্কামুক্ত। জুস পান করে ফুড পয়জন বা জুসটি মিশ্রণ ছিলো বলে ধারণা করেন তিনি। বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
