নিজস্ব প্রতিবেদক;
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিবাহ বন্ধে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ক্ষেত্রে মেয়েদের শিক্ষার ওপর বেশি জোর দিতে হবে। আবার এ শিক্ষা কর্মক্ষেত্রে কতটা কার্যকর, সেটাও দেখতে হবে। একই সঙ্গে মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও জরুরি। এছাড়া আইন থাকা সত্ত্বেও যৌন হয়রানি বেড়ে চলেছে। মেয়েদের স্বাস্থ্য—সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়েও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। ছেলে-মেয়ে দুজনকেই সমান গুরুত্ব দেওয়াও জরুরি। তাদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করা যাবে না। বাল্য বিবাহ বন্ধে সবাইকে একসাথে হয়ে কাজ করতে হবে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলা মিলনায়তনে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘চাইল্ড সেইফটি নেট প্রজেক্ট’ এর অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রজেক্ট ম্যানেজার ফ্রান্সিস মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হিমেল হাসান ও ডা. আফরোজা সুলতানা। সভায় প্রজেক্ট শেয়ারিং করেন উপজেলা কোর্ডিনেটর শ্যামল ফ্রান্সিস রোজারিও। উপস্থাপনায় ছিলেন সিপিও জেসি কোর্ডিনেটর শাহনাজ পারভিন।
সভায় বক্তারা বলেন, এখনো কিছু মানুষ মনে করে যে ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের অন্যতম কাজ হলো মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে সচেতনতা তৈরি করা। শিক্ষক, গণমাধ্যম, ধর্মীয় ও সমাজ নেতাসহ সবাইকে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৮ সাল পর্যন্ত ৪ বছর মেয়াদি ‘চাইল্ড সেইফটি নেট প্রজেক্ট’ প্রকল্প গ্রহণ করে ওয়ার্ল্ড ভিশন ইন্টারন্যাশনাল। যা বাস্তবায়নকারী অংশীদার হিসেবে রয়েছে আমাল ফাউন্ডেশন। প্রকল্পের বাজের ধরা হয়েছে ৭৬ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮২৬ টাকা। যার লক্ষিত উপকারভোগী ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ২৮ হাজার ৫১০ জন। কক্সবাজারের সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কাজ করা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।