নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;
বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ফুলতলীতে বিজিবির অভিযানে ২টি মায়ানমারের মহিষ জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টা ৩০ ঘটিকার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র অভিযানে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের মায়ানমার সীমান্তবর্তী ফুলতলী এলাকা থেকে ২টি মায়ানমার (বার্মিজ) মহিষ উদ্ধার করে।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধীনে ফুলতলী বিওপি টহল কমান্ডার-৬০৪৭৪ হাবিলদার মো. জামাল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল বিওপি থেকে আনুমানিক ২ কি. মি. দক্ষিণে এবং বিপি-৪৮ এলাকার আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পশ্চিমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে “পুলিশ টিলা নামক স্থান” থেকে মালিক বিহীন অবৈধ ভাবে পাচারকৃত ২টি মায়ানমার (বার্মিজ)মহিষ উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত মহিষ ২ টি ১১ বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদরে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, সীমান্ত দিয়ে অসাধু চোরাকারবারিরা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমার থেকে গরু নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকার ভিতরে নিয়ে আসে। উল্লেখ্য,নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির নিয়ন্ত্রণাধীন কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারিরা প্রতিদিন শত শত গরু,মহিষ মিয়ানমার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পারি দিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গা দিয়ে গর্জনিয়া ও চাকঢালার হাটে নিয়ে বিক্রি করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন দেশীয় গরু খামারিদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, সীমান্ত সুরক্ষায় ১১ বিজিবির সদস্যরা কল্পনা অতীত ভাবে কষ্ট করে যাচ্ছেন, পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসা অবৈধ গরুর বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার করা হলে ; তাদের মতে দেশীয় গরুর খামারি যারা আছেন তারা কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে উঠে দাঁড়াতে পারতেন।
এদিকে চোরাকারবারিরা সিএনজি সহ বিভিন্ন গাড়ি যোগে নাইক্ষ্যংছড়ির লেমুছড়ি,আশারতলী,তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে প্রতি নিয়ত দিনে-রাতে সমান তালে সার, বিস্কুট, চাউল, চিপস, তৈলসহ খাদ্য সামগ্র পাচার করে যাচ্ছে মায়ানমারে । এ নিয়ে সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এবং অভিযান আরো জোরদার করার জন্য বিজিবির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।