মহেশখালী প্রতিনিধি;
মহেশখালী পৌরসভার হিন্দুপাড়া এলাকায় ১৬ পরিবারকে বিনা নোটিশে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
২৪ শে সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলা চত্বরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্তরা এ অভিযোগ করেন। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে রঞ্জিত দে গং, সুরেশ কান্তি দে গং, শংকর দে গং, বাধন দে গং, বাপ্পী দে, বুলবুল দে অভিযোগ করেন, গত ২০২৩ সালের ২৪ শে মার্চ সকালে বৃষ্টি বাদল দিনে হঠাৎ করে বিজ্ঞ আদালতের আদেশে ১৬টি বসত ঘর উচ্ছেদ করা হয় শশাঙ্ক দে প্রকাশ মগিরাম দে পুত্র সবুজ কান্তি দে নেতৃত্বে পুলিশসহ একদল লোক সেখানে গিয়ে নিজের সম্পত্তি দাবি করে বিনা নোটিসে তাদের বাড়িতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এ সময় ৩২ বছরের ভোগদখলীয় বসবাসরত ১৬ পরিবার ও তাদের বাসার মালামাল তছনছ করা হয়। সবাইকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ সময় তারা বাধা দিলে তাদের আদালতে যেতে বলা হয়।
তাদের দাবি বিনা নোটিশে এবং ভুল ঠিকানায় এসে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। অর্থাৎ শশাঙ্ক দে প্রকাশ মগিরাম দে পুত্র সবুজ কান্তি দে গং এর সম্পত্তি বলে তাদের উচ্ছেদ করা হলেও মূলত ৩২ বছরের দখলীয় উচ্ছেদ হওয়া পরিবারের পক্ষ থেকে খাস দখল ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার নিমিত্তে কক্সবাজার যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে একটি মামলা রুজু করেন। গোরকঘাটা দক্ষিণ হিন্দু পাড়ার মৃত লক্ষ পদ দে এর পুত্র রঞ্জিত প্রকাশ বাদল সহ আরো ১৮জন ব্যক্তি যৌথ ভাবে মামলাটি দায়ের করেন। উক্ত চলমান মামলা নং ৮২/২৪ ও ৮১/৯৩ খাস দখলের পাশাপাশি ৬৩,৭৫,০০০/= টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।
এ অবস্থায় গোরকঘাটা মৌজার আর.এস ৩১৮ খতিয়ান, বি.এস- ৪৫৯, সৃজিত- ৩১৫৮ খতিয়ানে বিরোধীয় জায়গায়, উচ্ছেদ হওয়া ১৬ পরিবারের শতাধিক শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগী, শিক্ষার্থী, গর্ভবতী মা বিভিন্ন জনের বাসা-বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তারা দরিদ্র, অসহায়, দিনমজুর, নির্যাতিত-নিপিড়িত, বঞ্চিত মানুষ হিসেবে সরকারের সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ মহামান্য আদালত পুনরায় উক্ত মামলার রায়টি পুনর্বিবেচনা করে, উচ্ছেদের কবলে পড়ে পথে বসেছেন। তারা প্রশাসন ও সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।