নুরুল আলম সাঈদ; নাইক্ষ্যংছড়ি
বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নে আমবাগান নামক স্থানে বিজিবি অভিযান চালিয়ে পাম ওয়েল, ফ্রুটিকা জুস , অকটেন ,পটেটো চিপস , প্রাণ মিনারেল পানি,বিস্কুটসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে কক্সবাজার ৩৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি)’র ঘুমধুম বিওপির বিশেষ টহল দল মিয়ানমারে পাচারের সময় মালিক বিহীন এ সব বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়। জানা যায়, ঘুমধুম সীমান্তরক্ষী বিজিবির বিওপি থেকে আনুমানিক এক কি. মি. দক্ষিণ-পূর্বে ; সীমান্ত পিলার-৩২ থেকে উত্তর দিকে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে, আমবাগান নামক স্থান দিয়ে মিয়ানমারের পাচারের সময়
ঘুমধুম বিওপি’র বিশেষ টহল দল মালিকবিহীন বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রকার মালামাল গুলি জব্দ করে। জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, আপ্যায়ন গোল্ড পাম ওয়েল ১২০ লিটার, ডিভাইন, ফ্রুটিকা জুস (২৫০ এম.এল) ১২০ বোতল, অকটেন ৬৪ লিটার,পটেটো চিপস ২,৪০০ প্যাকেট, প্রাণ মিনারেল পানি ৪০ লিটার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়। উদ্ধারকৃত মালামাল গুলি বর্তমানে বিওপি’র হেফাজতে রয়েছে এবং পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়। উল্লেখ্য নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে স্থানীয় চোরাকারবারিরা অধিক মুনাফার লোভে বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী মিয়ানমারে পাচার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। উক্ত এলাকায় সীমান্ত সুরক্ষায় নিয়োজিত কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির জোয়ানেরা কঠোর ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রায় সময় মাদক ও চোরাকারবারি আটক হচ্ছে। এবং বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সহ হরেক রকম মালামাল জব্দ করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় ভাবে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের এমন তৎপরতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেঃকর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী বলেন, সীমান্তে চোরাকারবারিরা এসব তৈল ও খাদ্য সামগ্রী অবৈধ পন্থায় পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারে পাচারের জন্য মজুদ করছিল। বিজিবি সীমান্তে মাদক ও চোরাকারবারি প্রতিরোধে সর্বদা তৎপর রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।