এইচ এম রুহুল কাদের,চকরিয়া:

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালানোর পর দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ বিরাজ করছে । ছাত্রদের প্রতিবাদের মুখে দেশের কোথাও শেখ মুজিবের শোক দিবস পালন করতে পারেনি।

এরমধ্যে গত ১৫ আগষ্ট চকরিয়া উপজেলার বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহীন মুরাদ ও বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (খালেদা মেম্বার) খালেদা বেগমের নেতৃত্বে শেখ মুজিবের শোক দিবস ও মেজবান করার চেষ্টা চালিয়েছিল।

বরইতলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ আগষ্ট রাতে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগের কর্মীরা শোক দিবস উপলক্ষে মেজবান করার চেষ্টা করে । খবর আমরা বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল এসে মেজবানের জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিদারুল কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান খালেদা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি করিনি,এবং তা জানিও না। আমি আওয়ামী লীগ করার কারণে আমার নামে অভিযোগ করছে, তাহলে আমি করতাম? এইজন্য জন্য কি আমার পালাতে হবে?

বরইতলী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহীন মুরাদ বলেন, ১৫ আগস্ট রাতে স্থানীয় কিছু যুবক পিকনিক খাইতে চেয়েছিল, এতে আমি স্কুলের সভাপতি হিসেবে বাঁধা প্রদান করি।