আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার)
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদী সংলগ্ন লবণের মাঠে অভিযান চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান,শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ভোরে
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ লেদা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-১১ হতে আনুমানিক ১
কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে লেদা লামারপাড়া এলাকা দিয়ে মাদকদ্রব্যের একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে লেদা বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত স্থানে গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে লবণের ডিবির আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর টহলদল একজন ব্যক্তিকে নাফনদী পার হয়ে একটি প্লাস্টিকের বালতি হাতে নিয়ে বেড়ীবাঁধ অতিক্রম করে সীমান্তের শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লবণ মাঠের দিকে আসতে দেখে এবং তার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত তার দিকে অগ্রসর হয়। উক্ত ব্যক্তি বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে বহনকৃত বালতিটি ফেলে লবণ মাঠে অনেক শ্রমিকের কাজের সুযোগে দৌড় দিয়ে নাফনদীতে লাফিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল উক্ত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া একটি প্লাষ্টিকের বালতি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বালতির ভিতর থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তার সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম শেষে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।