ছৈয়দ আহমদ তানশীর উদ্দিন:
চলছে রোজার মাস,মুসলিম ধর্মালম্বীরা ভাবগাম্ভীর্যের সাথে এই সিয়াম সাধনা পালন করেন।তবে রোজায় পানাহারে যেমন বিধিনিষেধ রয়েছে পাশাপাশি রোগীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় স্বাস্থ্য বিধিতে কিছু সর্তকর্তা রয়েছে।
রোজা রেখে নিচের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহন করলে আপনার রোজা ভাঙ্গবে –
১. রোজা রেখে সাপোজিটরি (পায়খানার রাস্তায় দেওয়া ওষুধ) দেওয়া হলে।
২. রোজা রেখে ইনজেকশন স্যালাইন নিলে যেমন : ৫% ডিএনএস,নরমাল স্যালাইন,কলেরা স্যালাইন ও গ্লুকোজ স্যালাইন।
৩. রক্ত গ্রহণ করলে /রক্ত নিলে।
৪. এন্ডোস্কোপি করানো হলে / গলায় নল দিয়ে পরীক্ষা করলে।
৫. নাকে খাবারের নল দিলে।
৬. পায়খানার রাস্তায় পরীক্ষা যেমন কোলনস্কোপি/ প্রক্টোস্কোপি করলে।
৭. ইনহেলার ব্যবহার করলে ( এক্ষেত্রে দুই ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, এক শ্রেণীর ফকীহ দের মতামত রোজা ভাঙবে না, আরেক শ্রেণী বলেছেন রোজা ভাঙ্গবে, ব্যক্তিগতভাবে আমি রোজা ভেঙ্গে যাবার মতামত কে অধিকতর যৌক্তিক মনে করি)।
৮. নেবুলাইজেশন করলে
৯. নাকের ড্রপ দিলে
১০. কানের ড্রপ দিলে (যদি কানের পর্দায় ছিদ্র থাকে)
১১. ডায়ালাইসিস করলে
১২. পায়খানার রাস্তায় enema দিলে
রোজা রেখে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহনে রোজা ভাঙ্গবে না –
১. রক্ত দিলে।
২. রক্তের স্যাম্পল দিলে / রক্ত পরীক্ষা করলে।
৩.মাংসে /চামড়ায় কোনো ইনজেকশন দিলে, ইনসুলিন দিলে।
৪. শিরায় ইনজেকশন দিলে ( ইনজেকশনে যদি ১০০ মিলি এর চেয়ে বেশি পানি থাকে তাহলে রোজা ভাঙতে পারে: Al Balagh Academy, UK এর মতামত, তাই অপ্রয়োজনে ইনজেকশন না নেওয়া উত্তম)।
৫. চোখের ড্রপ দিলে (তবে যদি ড্রপ দেওয়ার পর মুখে স্বাদ অনুভূত হলে সেই ক্ষেত্রে সেটা থুতু দিয়ে বের করতে হবে, তাই অনেক আলেম বলেন চোখের ড্রপ অপ্রয়োজনে না নিতে)
৬. ক্যাথেটার করানো হলে।
৭. ক্যানুলা করানো হলে।
৮. ডায়াবেটিস পরীক্ষা করলে।
৯.ভ্যাকসিন দিলে।
১০. মাসিকের রাস্তায় কোনো ওষুধ দিলে (Al Balagh Academy)।
১১. হিজামা করলে ( তবে হাম্বলী মাজহাব ও অন্যান্য কিছু আলেমদের মতে রোজা ভাঙ্গবে)।
সূত্র: পয়েন্টগুলো রিসার্চ একাডেমি ফর মেডিকেল ফিকহ এন্ড ইসলামিক ট্রিটমেন্ট (RAMFIT) এর ক্লাস ও বিভিন্ন অনলাইন ফিকহ ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা। কোনো ব্যাপারে জিজ্ঞাসা থাকলে আলেমদের থেকে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
লেখক : নার্স ও পুষ্টিবিদ,কক্সবাজার।
syedahmedtanshiruddin@gmail.com