সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির পাক্ষিক সাহিত্য আড্ডায় বক্তারা বলেছেন, জেলার অন্যতম সব্যসাচী লেখক, কবি, অ্যাডভোকেট সুলতান আহমদ ছিলেন সাহিত্য অঙ্গনে অসাধারণ প্রভাব বিস্তারকারী। সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই, তাঁর জানা নেই। তিনি যেমন বলতে পারতেন, তেমনি লিখতেও পারতেন। বলা যায়-সবাই লিখতেন একহাতে, আর সুলতান সাহেব লিখতেন দু’হাতে। কক্সবাজারে তাঁর শূণ্যস্থান আগামী কয় বছরে পূরণ হবে আমাদের জানা নেই।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত একাডেমির ৫৪১ তম পাক্ষিক সাহিত্য আড্ডায় বক্তাগণ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, লোকজ গবেষক, বহু গ্রন্থের প্রণেতা, সাংবাদিক মুহম্মদ নূরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বক্তারা আরো বলেন, কোন রকমের চর্চা ছাড়া বা পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া অনর্গল যে কোন বিষয়ের উপর কথা বলতে পারতেন সুলতান আহমদ। কক্সবাজারের সাহিত্য জগতের প্রেক্ষাপটে অনন্য অসাধারণ ব্যক্তি ছিলেন তিনি। একাডেমির প্রতিটি পাক্ষিক সাহিত্য আড্ডায় দেশের কোন না কোন কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীর জীবনগাঁথা থেকে আলোচনা হয়। সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে মূখ্য আলোচনাটা মূলত তিনিই করে দিতেন। বলা যায় তিনিই সূত্রধর।
বাংলা সাহিত্যের অসাধারণ পাণ্ডিত্য পৌঢ় মানুষটা যে কোন কবি সাহিত্যিকদের দিন, মাস ও বছর অনায়েসে বলে দিতে পারতেন। কবি, সাহিত্যিক ও সৃষ্টিশীল এ ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা সত্যিই কক্সবাজার নয় শুধু পুরো দেশের জন্য অপূরণীয়।
বরাবরের ন্যায় পাক্ষিক সাহিত্য আড্ডা দুই পর্বে বিভক্ত ছিল। দেশের যে কোন কবি সাহিত্যিকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা ও স্বরচিত এবং প্রিয় কবির কবিতা পাঠ। এবারে একাডেমির একাধিকবারের মনোনিত স্থায়ী পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কবি ও প্রাবন্ধিক মরহুম সুলতান আহমদের জীবনগাঁথা থেকে আলোচনার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়।
একাডেমির সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক, গল্পকার, কবি সোহেল ইকবালের সঞ্চালনায় নির্ধারিত বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একাডেমির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, লেখক, গবেষক, সাংবাদিক ও কবি আজাদ মনসুর।
পরে মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন, একাডেমীর স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান কবি, অনুবাদক ও প্রবীণ সাংবাদিক রুহুল কাদের বাবুল, স্থায়ী পরিষদের সদস্য যথাক্রমে একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি মীর্জা মনোয়ার হাসান, কবি আহমদ উল্লাহ, কবি আদিল চৌধুরী, হাসিনা চৌধুরী লিলি, কক্সবাজার হাশেমিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, প্রাবন্ধিক রহমত ছালাম।
কবি সুলতান আহমদের জীবন ও কর্ম নিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ সভাপতি, সদ্য অবসরে যাওয়া জেলা শিক্ষা অফিসার, ছড়াকার মোঃ নাছির উদ্দিন, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান মোঃ মাসুদ রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছড়াকার জহির ইসলাম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক কবি শামীম আকতার, অফিস সম্পাদক কবি ও আবৃত্তিকার কল্লোল দে চৌধুরী, কবি মুহাম্মদ বাকের, কবি শামসুল আলম কুতুবী সদস্য কবি জোসনা ইকবাল, কবি কানিজ ফাতেমা ও কবি বুলবুল এ জান্নাত। পরে স্বরচিত ও প্রিয় কবির কবিতা পাঠে অংশ নেন উপস্থিত কবিবৃন্দ।
এর আগে একই স্থানে একাডেমির স্থায়ী পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের অংশগ্রহণে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় একাডেমির ২৫ বছর বা সিলভার বার্ষিকী পালন, সাহিত্য পুরস্কার প্রদান, একাডেমির মূখপাত্র সমুদ্র সংলাপ, বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে তরুণ সংলাপ, প্রমোদ সংলাপ, কিশোর সংলাপসহ নানা বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
