পেকুয়া প্রতিনিধি;
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পূর্ব টইটং ৪নং ওয়ার্ডের কেরনছড়ি জামে মসজিদের দীর্ঘদিনের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. দেলোয়ার হোছাইনকে অবসর গ্রহণ উপলক্ষে অভূতপূর্ব এক বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে মসজিদ প্রাঙ্গণে মসজিদ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, মসজিদ কমিটির সদস্য, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ শতশত মুসল্লি।
মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন টানা ৩৫ বছর ধরে কেরনছড়ি জামে মসজিদে ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এলাকার ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা স্মরণীয় করে রাখতে এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ব্যতিক্রমী বিদায়ী আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে তাঁকে ফুলের মালা, নগদ উপহার, মানপত্র, সম্মাননা ক্রেস্ট ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন টইটং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ আব্দুল হক। তিনি বলেন, “মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন শুধু একজন ইমাম নন, তিনি আমাদের এলাকার ধর্মীয় ও নৈতিক দিকনির্দেশনার বাতিঘর ছিলেন। তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
সভাপতিত্ব করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোজাহের আহমদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক আবদুল মামুন ফারুকী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক চেয়ারম্যান জেড. এম. মোসলেম উদ্দিন, সাংবাদিক মোহাম্মদ ফারেকুল ইসলাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল গণি, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক শামশুল আলম, আব্দুল খালেক সরদার, আব্দু শুকুর, মৌলানা মোজাম্মেল হক এবং নবাগত পেশ ইমাম হাফেজ সাজ্জাদ হোছাইন।
এছাড়া এলাকার সমাজের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- খলিলুর রহমান, আবুল খাইর, আব্দুল খালেক, আব্দুল মাজেদ, আবুল হোছাইন, আব্দুর রহমান পুতু, আবুল কাশেম, সেনা কল্যাণ সংস্থার টিকাদার মুহাম্মদ শাহ জাহান, কেরনছড়ি মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান, কেরনছড়ি যুবকল্যাণ সংগঠনের সদস্যবৃন্দসহ আরও অনেকে।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি শেষ হয় জুমার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে। নামাজ শেষে সংবর্ধিত অতিথি মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন মুসলিম উম্মাহ, দেশ, জাতি ও এলাকার কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এলাকাবাসীর মতে, একটি গ্রামীণ মসজিদের ইমামকে কেন্দ্র করে এমন মর্যাদাপূর্ণ বিদায়ী আয়োজন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতাবোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
