মোঃ শফিউল আলম
একটি জাতির অগ্রগতির জন্য নেতৃত্বের ভূমিকা অপরিসীম। একজন সৎ, দূরদর্শী ও জনগনিষ্ঠ নেতাই পারেন একটি অঞ্চল, এমনকি একটি দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এক প্রভাবশালী ও কর্মবীর নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ সেই বিরলপ্রজ মানুষ, যিনি শিক্ষা, প্রশাসন ও রাজনীতির অঙ্গনে অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখে মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন গড়ে তুলেছেন। তাঁর জীবন-কর্ম, আদর্শ ও উন্নয়ন দর্শন শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক জীবনের সফল উপাখ্যান নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অনুকরণীয় পথনির্দেশও বটে।
#শিক্ষা ও প্রশাসনিক জীবন: নেতৃত্বের বীজবপন
সালাহউদ্দিন আহমদ আইনের ছাত্র হিসেবে তার উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করেন। বিচারবোধ, ন্যায়পরায়ণতা ও যুক্তিনিষ্ঠ চিন্তার চর্চা তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করে। এরপর তিনি বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের প্রশাসনে যুক্ত হন। প্রশাসনিক দক্ষতা, শৃঙ্খলা ও মানবিক দায়িত্ববোধের কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রীর এপিএস (সহকারী ব্যক্তিগত সচিব) পদে নিযুক্ত হন — যা একজন তরুণ কর্মকর্তার জন্য একটি বিরল সম্মান ও আস্থার নিদর্শন।
এই সময়কালে রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা, নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ততা এবং প্রশাসনিক বাস্তবতা সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান আরও পোক্ত হয়। এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে তিনি রাজনীতির কঠিন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গনে প্রবেশ করেন — জনসেবার অধিকতর বিস্তৃত পরিসরে অবদান রাখার লক্ষ্য নিয়ে।
#রাজনীতির উজ্জ্বল অধ্যায়: হ্যাটট্রিক সাংসদ ও জনপ্রিয়তার প্রতীক
সালাহউদ্দিন আহমদ রাজনীতিতে পা রাখেন জনগণের কল্যাণে নিবেদিত থাকার অঙ্গীকার নিয়ে। তিনি খুব অল্প সময়েই জনগণের আস্থা অর্জন করেন এবং পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন — যা এই অঞ্চলে এক ঐতিহাসিক অর্জন।
এই হ্যাটট্রিক কেবল পরিসংখ্যানগত সাফল্য নয়, বরং তা তার প্রতি জনগণের অগাধ ভালোবাসা ও আস্থার প্রতিফলন।
তিনি কখনও প্রতিশ্রুতিকে কথার ফুলঝুরি করে রাখেননি; বরং সেগুলোকে বাস্তবায়ন করে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে দৃশ্যমান পরিবর্তন এনেছেন।
#যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে ঐতিহাসিক অবদান
সালাহউদ্দিন আহমদের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। বহু বছর ধরে অবহেলিত দক্ষিণ চট্টগ্রাম আজ উন্নয়নের গতিপথে ছুটছে তার নিরলস প্রচেষ্টার কারণে।
#বিশেষত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কথা উল্লেখ না করলেই নয়:
তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু— যেটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের জন্য একটি যুগান্তকারী সংযোগের প্রতীক।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর — এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
মাতারবাড়ি জেটি ও অন্যান্য অবকাঠামো — যা শিল্প, বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগের পথ সুগম করছে।
তার নেতৃত্বে শুধু রাস্তা বা সেতু তৈরি হয়নি, বরং একটি অঞ্চলকে আধুনিকায়নের মূল স্রোতে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে — যা প্রকৃত উন্নয়ন দর্শনের প্রতিফলন।
#অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র: জনপ্রিয়তাকে রুখতে ব্যর্থ চক্রান্ত
একজন সফল ও জনপ্রিয় নেতার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো নতুন কিছু নয়। সালাহউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধেও সম্প্রতি একটি বিশেষ মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। এই অপপ্রচারের উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট — তা হলো জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তার জনপ্রিয়তায় চির ধরানো।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, মিথ্যা কখনও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সময়ই সবথেকে বড় বিচারক। একজন নেতার কাজই তার সবচেয়ে বড় জবাব। সালাহউদ্দিন আহমদের কর্মপ্রবাহ, অর্জন ও দূরদর্শিতা এসব অপচেষ্টাকে বারবার ম্লান করে দিয়েছে।
#ভবিষ্যতের জন্য এক পথপ্রদর্শক নেতৃত্ব
সালাহউদ্দিন আহমদ আমাদের সময়ের এক প্রাজ্ঞ, সৎ ও আধুনিক নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি। তিনি প্রমাণ করেছেন যে প্রশাসনের অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং জনসম্পৃক্ততা মিললে কিভাবে একজন ব্যক্তি একটি অঞ্চলের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার যতই ছড়ানো হোক না কেন, সত্যের ওপর দাঁড়ানো নেতৃত্ব কখনও হেরে যায় না। তাঁর কর্মকাণ্ড, উন্নয়ন দর্শন এবং জনসেবা আগামী দিনের রাজনীতির জন্য পথনির্দেশনা হয়ে থাকবে।
আজ যখন জাতি উন্নয়নের মহাসড়কে, তখন সালাহউদ্দিন আহমদের মতো নেতার প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশী ।
__
লেখক:
সদস্য, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ,
চকরিয়া, কক্সবাজার ।