নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বন্দরে কমলালেবুর ঘোষণা দিয়ে আনা হয়েছে কোটি টাকার বিদেশি সিগারেট।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা বুধবার (২১ মে) বিকেলে একটি কনটেইনার খুলে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করে। বিষয়টি বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আহসান করপোরেশন ১৫ মে চালানটিকে ‘কমলালেবু’ হিসেবে ঘোষণা করে। পণ্য খালাসে নিয়োজিত ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট দিবা ট্রেডিং লিমিটেড।
চট্টগ্রাম কাস্টমস জানায়, ঘোষণার সঙ্গে গরমিল দেখে কনটেইনারটি ‘ফোর্সড কিপ ডাউন’ পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, ভেতরে রয়েছে ১ হাজার ২৫০ কার্টন ল্যামার ও অস্কার ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট এবং মাত্র ৩৮ কার্টন ‘ফ্রেশ ন্যাভেল অরেঞ্জ’।
এআইআর শাখার প্রাথমিক ধারণা, এই চালানে প্রায় ৩০ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, “ভুয়া ঘোষণা ও নথিপত্র ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, “বাংলাদেশে বৈধভাবে বিদেশি সিগারেট আমদানির ক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কবার্তা থাকা বাধ্যতামূলক। জব্দকৃত সিগারেটগুলোতে তা ছিল না।”
নিয়ম অনুযায়ী, মান যাচাই শেষে জব্দ করা পণ্য ধ্বংস অথবা নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
