সংবাদ বিজ্ঞপ্তি;
কক্সবাজার জেলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হৃদরোগ চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম, একটি বিনামূল্য মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এ ক্যাম্পে এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম)-এর ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট, কো-অর্ডিনেটর এবং প্রতিষ্ঠাতা ডা. তাহেরা নাজরীন বহির্বিভাগে শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এভারকেয়ার হসপিটালস-এর এই কার্যক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আগামী ১২ মে ২০২৫, সোমবার, কক্সবাজারের হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প চলবে।
জনসাধারণের জন্য মানসম্মত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে নবজাতক থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের হৃদরোগ সংক্রান্ত জটিলতার ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী বিনামূল্যে ডিভাইস, বেলুন এবং পরামর্শসহ অন্যান্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করবে হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ বিভাগ।
ডা. তাহেরা নাজরীন বলেন, “বাংলাদেশে শিশু হৃদরোগের প্রকোপ দিনে দিনে বাড়ছে এবং এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতার অভাব, দারিদ্র্য, এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেড়ে ওঠার কারণে এ শিশুরা হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ এসব শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হৃদরোগ পরীক্ষা ও পরামর্শ সেবা দিচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য—সব শিশুর জন্য সমানভাবে মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করা। এ কাজে সরকারি-বেসরকারি খাতের দায়িত্বশীলদের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”
শিশু হৃদরোগ চিকিৎসায় ডা. তাহেরা নাজরীন একজন স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ, যিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটাল এবং ভারতের নারায়ণা হৃদয়ালয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। তার দক্ষতা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এই উদ্যোগকে সফল করে তুলছে।
অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৩২২ ৮৩৯৮৪১ অথবা ০১৩২২ ৮৩৯৯১২ নম্বরে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
