জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র সিফাত ই আরমান শিক্ষক হিসেবে একই বিভাগে যোগদান করেছেন । চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান সিফাত ই আরমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ২০১৬ সালে ক্লাস শুরু করেন। বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তিনিই প্রথম শিক্ষক হলেন।

তিনি চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নের মধ্যম মায়ানী গ্রামের হাজী গণি আহমদ ভূঁইয়া বাড়ির সন্তান।
তার বাবা জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং নিখাদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সিফাত ই আরমান চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকার সাউথ পয়েন্ট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০১৩ সালে জিপিএ ফাইভ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেন এবং একই প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান থেকে ২০১৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। ২০১৫-১৬ সেশনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। প্রথম শ্রেণীতে কৃতিত্বের সাথে অনার্স পাস করে ভর্তি হন মাস্টার্সে। মাস্টার্সে সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩.৯৮ পেয়ে সবাই কে তাক লাগিয়ে দেন আরমান।
একাডেমিক পারফরম্যান্স সম্পর্কে সিফাত ই আরমান বলেন, “B.Sc. চলাকালীন সময় আমি ৪ মাস Datasoft Manufacturing & Assembly (DMA) তে Intern হিসেবে ছিলাম। সেখানে Artificial Intelligence নিয়ে কিছু কাজ করি। মাস্টার্স চলাকালীন সময় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে Artificial Intelligence in Medical Image Analysis and Weather Forecasting রিলেটেড ৪টি প্রজেক্টে Research Assistant হিসেবে কাজ করি। কোভিড -১৯ চলাকালীন সময়ে আমি Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Agriculture University (BSRMAU) এর GIS & Remote Sensing ল্যাব এ Visiting Research Assistant হিসেবে কর্মরত ছিলাম। সেখানে আমি Artificial Neural Network ব্যবহার করে কলা পাতার রোগ নির্ণয়ের কাজ করি।
মাস্টার্স শেষে ২০২২ সালে আমি BRAC University তে ফ্যাকাল্টি হিসেবে যোগদান করি। BRAC University তে ১ মাস চাকরির পরই আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে Lecturer হিসেবে যোগদান করার Appointment Letter পাই এবং গত ৩০ জুন চাকরিতে যোগদান করি।

শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার পর
সিফাত ই আরমান বলেন , “আমার বাবা-মা আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আমার বাবা খুব পজিটিভ এবং সৎ একজন মানুষ। বাবা সবসময় আমার সবকিছুর খবর রাখতেন। আর আমার মা আমার দেখা সবচেয়ে ভালো মানুষ। মা সবাইকে খুব সহজেই আপন করে নিতে পারেন। আমি একটু চাপা স্বভাবের লোক। কথা অর্ধেক বলি প্রায় সময়। কিন্তু আমার বাবা-মা আমাকে বুঝতে পারতেন সবসময়। উনাদের দোয়া আর ভালোবাসা ছাড়া কখনো এতদূর আসা সম্ভব ছিলো না। আমি কৃতজ্ঞ উনাদের কাছে সবকিছুর জন্য।”