ডেস্ক নিউজ:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে আরও ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জুলাইয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ আওতাভুক্ত সরকারি রাজস্ব খাত থেকে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে।
ডিপিই সূত্র জানায়, বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৮২০টি। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই। এছাড়াও ২৩ হাজারের মতো সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক শূন্য পূরণে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) থেকে নন-ক্যাডারে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় সব জেলায় চলতি দায়িত্বে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষক সংকট দূরীকরণে ২০১৪ সালের রাজস্ব খাতের স্থগিত হওয়ায় ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৪ সালের স্থগিত নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা গত ২০ এপ্রিল শুরু হয়। চারটি ধাপে সারাদেশের ৬২টি জেলায় শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল রোববার লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ৬ লাখ ১৬ হাজার ৬৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তার মধ্যে ২৯ হাজার ৫৫৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী এক মাসের মধ্যে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের ৬২ জেলায় মৌখিক পরীক্ষা এক সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।
ডিপিই’র মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে বলেন, নতুন করে রাজস্ব খাতে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। জুলাই মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
ডিপিই’র মহাপরিচালক জানান, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় রাজস্ব খাতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, অতিরিক্ত ক্লাসরুম তৈরি, প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুলগুলো অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হবে। এসব বিদ্যালয়ে শূন্য শিক্ষক পদ, প্রয়োজন অনুযায়ী সৃষ্ট পদ, প্রাক-প্রাথমিক স্তর মিলিয়ে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেড় লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। নতুন করে সঙ্গীত ও লেখাধুলা বিষয়ে প্রতিটি স্কুলে দুইজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।