আতিকুর রহমান মানিক:

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে অগ্নিকান্ডে ৪২ টি দোকান পুড়ে গেছে। বুধবার (২২ মে) ভোর ৫ টায় ঈদগাঁও বাজারের বাঁশঘাটাস্হ ঐতিহ্যবাহী ফার্নিচার মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। প্রায় ৩ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
এত দুইব্যক্তি আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাবুলের পুত্র শফিক (৩৫) এবং ইউছুফেরখীল গ্রামের এনামুল হকের পুত্র কামাল উদ্দিন (৩০)।

আহতদের মধ্যে শফিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর আহত কামাল জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবছার।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে ৪২ টি ফার্নিচার শো রুম ও কারখানা পুড়ে আনুমানিক ৬ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকেরা হলেন, ইকবাল, ইসলাম, মুসলিম খান, জমির খান, ইলিয়াছ মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, আবু ছিদ্দিক, নুরুল আমিন, নুরুল ইসলাম, মোজাফফর আহমদ, ফরিদুল আলম, ফোরকান আহমদ, রফিক, জসিম, ফারুক, গিয়াস, বাবুল, কাশেম এবং শাহজাহান প্রমূখ।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ তৈরি ফার্নিচার, ফার্নিচার তৈরী ও ফিনিশিংয়ের মূল্যবান যন্ত্রপাতি, সাইজ করা রদ্দা, হাজার হাজার ঘনফুট চেরাই কাঠ, হার্ডওয়ারসামগ্রী, মূল্যবান কাগজপত্র এবং দোকানঘর পুড়ে গেছে।

রামু ফায়ার স্টেশনের লিডার মো. হাসান চৌধুরী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পর রামু এবং চকরিয়া ফায়ার স্টেশনের ৩ টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। টানা ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনের সূত্রপাত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে বলেও জানান লিডার হাসান।

ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চাকমা দৈনিক নয়া দিগন্ত’কে বলেন, অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। আবেদনকারীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করা হবে বলেও জানান ইউএনও।