ইমরান হোসাইন, পেকুয়া
পেকুয়া উপজেলায় আত্মীয়তার সূত্রে বিভিন্নজনের বাড়ীতে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। এছাড়াও স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বসতি গড়ে তুলছে তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক হামলায় সম্প্রতি বাস্তুচ্যুত হয়েএদেশে আসা এসব রোহিঙ্গাদের একটি অবস্থান নিতে শুরু করেছে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী, টইটং, বারবাকিয়া, শীলখালী ও উজানটিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে তাদের অনুপ্রবেশ নিয়ে বিভিন্ন শংকার কথাও জানিয়েছন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবী, শারীরিক ও ভাষাগত মিল থাকায় স্বাভাবিক জন¯্রােতে মিশে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। এতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে স্থানীয় অর্থনীতি ও পরিবেশ ভারসাম্যে। এছাড়াও দেখা দিতে পারে সামাজিক বিপর্যয়, বাড়তে পারে অপরাধ।
রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূর বলেন, ইউনিয়নের বকশিয়া ঘোনা এলাকায় মনজুরের বাড়ীতে চার পরিবারের ১৫জন রোহিঙ্গা গত তিনদিন ধরে অবস্থান করছে বলে জানতে পেরেছি। তারা মনজুরের ছোট বোনের শশুর পক্ষের লোকজন। বসবাসের জন্য ওই বাড়ীর উঠানে আলাদাভাবে ঘর তৈরী করতে স্থানীয়রা তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে বলেও আমি শুনেছি।
টইটং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা পূর্ব পাড়া এলাকায় পাহাড়ে কয়েকজন রোহিঙ্গা এসেছে বলে খবর পেয়েছি। তবে ইউনিয়নের কোন পাহাড়ী এলাকায় যেন রোহিঙ্গারা বসতি স্থাপন করতে না পারে সেব্যাপারে আমার সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
শীলখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল হোসেন বলেন, ইউনিয়নের কোথাও এখনো রোহিঙ্গা প্রবেশের খরব পাইনি। খবর পেলে উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনজুর কাদের মজুমদার বলেন, পেকুয়ায় রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপন বা আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে থানা পুলিশ সবসময় নজরদারী করছে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব উল করিম বলেন, উপজেলা পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করা গেলে তাদের তালিকা তৈরী করে রাখা হবে। এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।