শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :
সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা সড়কটি চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হয়েছে। বাজারের ডিসি সড়কে যানজট লেগে থাকায় বিকল্প সড়ক হিসাবে চালক ও যাত্রীরা বেছে নিয়েছে উক্ত সড়কটি। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খানা খন্দকে ভরপুর ছিল। প্রায় ২ বছর যাবত সংস্কার না হওয়ায় দিনদিন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। বিগত ১০দিন পূর্বে হালকা বৃষ্টির পানি জমাট হয়ে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ কাঁদা মাটিতে সয়লাব হয়েছে। ফলে যে কোন মুহুর্তে দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছে যাত্রী ও সাধারণ মানুষ। বৃষ্টি হলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহনের যাত্রী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা চরম আতঙ্কে থাকে। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ঈদগাহ কলেজ, কেজি স্কুল, হাইস্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়–য়া কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। আলমাছিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ওমর ফারুক বলেন, উক্ত সড়কটি দ্রুত সংস্কার জরুরী। অল্প বৃষ্টিতে কাদাজলে সয়লাব হয়ে পড়ে পুরো সড়কটি। এমনকি এক পশলা বৃষ্টিতেও গর্তে পানি জমে গিয়ে যানবাহন চলাচলে দারুন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ সড়ক দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরাও চলাচল করে থাকে। সরকারী চাকরীজীবি রতন কান্তি দে জানান, সামান্য বৃষ্টি হলে সড়ক জুড়ে কর্দমাক্তের কারণে শিক্ষার্থীদের চলাচলে অনেকটা দূর্ভোগে পড়তে হয়। তাদের দিকে দৃষ্টি রেখে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার করলে জন দূর্ভোগ লাঘব ও যানবাহন চলাচলে অনেকটা সুবিধা পাবেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলমাছিয়ার এক শিক্ষক জানান, এ সড়কটি দীর্ঘ সময় ধরে অযত্নে অবহেলায় পড়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় রাস্তাটির এমন অবস্থা হয়েছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পর্যাপ্ত বরাদ্ধ না থাকায় কাজটি করা হচ্ছে না বলে জানান। তবে বরাদ্ধ পাওয়া গেলে সড়কটি সংস্কার করা হবে।