বার্তা পরিবেশক : উখিয়ায় দুর্ভোগ লাঘবে নির্মিত ব্রীজটি  জনদুর্ভোগ বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী । জানা যায় ,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু নির্মান প্রকল্পের (২০১৫-২০১৬) অধীনে উখিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিসের তত্বাবধানে রাজা পালং ও জালিয়া পালং সীমান্তে পাইন্যাশিয়া পিনজীর কুল সংযোগ সড়কে খালের উপর ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য একটি সেতু নিমার্ন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্টান এস এম নুরুল আলম চকরিয়া। ব্রীজের দুপাশের এপ্রোচে (সংযোগে) মাটি দিয়ে ভরাট না করার কারনে এই ব্রীজ দিয়ে জনসাধারণ, স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী,বয়স্ক মানুষ চলাচল করতে পারছেনা। সর্বপরি সরকারের এত টাকার ব্রীজটি জনসাধারণের কোন কাজে আসছে না।

তাছাড়া নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে তড়িগড়ি করে ব্রীজ নির্মান করার কারনে অল্প সময়ের মধ্যে ব্রীজের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ব্রীজটির নিচের অংশ (বেইজ) যথাযথভাবে মাটির গভীরে না যাওয়ার কারনে  স্বাভাবিক লেভেল থেকে অনেক উঁচু হয়ে গেছে।দুর থেকে দেখলে দৈত্যর মত পাহাড় মনে হয়।ব্রীজের দক্ষিণ পাশে গাইড ওয়াল বা এসপার না দেওয়ার কারনে চলাচলের রাস্তটি খালের সাথে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। খালের ভাংগনে এই বর্ষায় সেটা রাস্তা বিহীন সেতুতে পরিণত হবে।

এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা যায়,নির্মানকালীন সময়ে ঠিকাদারকে সাইটে তেমন একটা দেখা যায়নি, সাব ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজটি করার কারনে ব্রীজটি এই দুরাবস্থা হয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকা বাসী সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করে ব্রীজটি জনসাধারনের চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পিআইও,দুই চেয়ারম্যান জাহাংগীর কবির চৌধুরী ও নুরুল আমিন চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।