ডেস্ক নিউজ:
আপন জুয়েলার্স ছাড়াও অন্য সোনা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, ‘সোনা চোরাকারবারি করে কারা ব্যবসা করছে সেটার তালিকা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’ মঙ্গলবার (৬ জুন) শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
ড. মইনুল খান বলেন, ‘সবাই অবৈধভাবে সোনার ব্যবসা করছে এমনটা আমরা বলছি না। অনেকে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ও তদন্ত ছাড়া কারও বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে অভিযান চালানো হবে না।’
আপন জুয়েলার্স ছাড়াও অন্য সোনা ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে সোনা এনে ব্যবসা করছে এমন কোনও তথ্য শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘অবশ্যই আছে। আমরা এটা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের কাছে তালিকা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তদন্তে প্রমাণ পেলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেবো।’
ড. মইনুল খান বলেন, ‘আমরা সোনা চোরাচালানের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স অবস্থানে আছি। প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক সোনা জব্দও করেছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া। ধারাবাহিকতা মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’
সোনার চোরাচালানকে অন্যান্য অপরাধের অক্সিজেন হিসেবে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, ‘এই সোনা চোরাচালানের সঙ্গে আরও অনেক অপরাধ জড়িত। বিভিন্ন অপরাধে অর্থায়ন থেকে শুরু করে অনেক কিছু এই চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই আমি মনে করছি সোনা চোরাচালান হলো অন্যান্য অপরাধের অক্সিজেন। আমরা এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স অবস্থানে আছি। সোনা চোরাচালান বন্ধ হলে অন্যান্য অপরাধ এমনিতে কমে আসবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।