এস. এম. তারেক, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ঘূর্ণিঝড় কবলিত মানুষের কাছে এখনও কোন প্রকার ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব এলাকার দূর্গত লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন। অদ্যাবধি ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য সরকারের কোন কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও দূর্গত অঞ্চলে দেখা যায়নি। পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী গ্রামের বাসিন্দা মেহেরুন্নেসা, মোঃ রশিদ ইসমাঈলসহ আরো অনেকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে তাদের ঘরবাড়ী সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়েছে। বর্তমানে তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে বলেও দাবী করেন। চৌফলদন্ডীর বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন, নুরনাহার, এবং শফিক আহমদসহ আরো অনেকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরা আঘাত হানার পর থেকে সরকারী অথবা বেসরকারী কোন সংগঠণ অদ্যবধি তাদের কোন খোঁজ খবর নেয়নি। এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১০ ইউনিয়নের জন্য ১২ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সদরের ১০ টি ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী নিতান্ত অপ্রতুল বলে মনে করেন এলাকার অভিজ্ঞ মহল।
পোকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোরার পর তিনি তার ইউনিয়নের সর্বত্র পরিদর্শণ করেছেন। তিনি আরো জানান, তার ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গোমাতলী এলাকার মানুষ। জোয়ার ভাটার কারণে অনেক লোক অদ্যবধি আশ্রয় কেন্দ্রসমুহে অবস্থান করছেন। এসব এলাকার লোকজনদের রোজা রাখতে খুব বেশি অসুবিধা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
জালালাবাদের ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, তার ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরীর কাজ চলছে পুরোদমে। শ্রীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কাজ শুরু করা হবে।
ভারুয়াখালীর প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাসেম জানান, তার ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার পশ্চিমাংশ, ছৈয়দা পাড়া, ননা মিয়া পাড়া, সাবেক পাড়া উত্তরাংশ, চাইঙ্গা মোরা, চৌচুলা মোরার উত্তরাংশসহ বিস্তীর্ণ জনপদ ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে অদ্যবধি কোন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো হয়নি বলে জানান। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থাও অদ্যবধি বন্ধ রয়েছে। লাইন মেরামত শেষে শ্রীঘ্রই লাইন চালু করা হবে জানান ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুতের সহকারী এজিএম মাসুদ।
এদিকে ঈদগাঁও’র ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার মানুষের কাছে শ্রীঘ্রই ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন দূর্গত এলাকার লোকজন।