নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে চলতি বর্ষা মৌসুমেই দৃশ্যমান অগ্রগতি আনতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এই মৌসুমেই জলাবদ্ধতা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। আর আগামী বছরগুলোতে ধাপে ধাপে স্থায়ী সমাধানের রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে হবে।”
বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে ‘জলাবদ্ধতা নিরসন ও নগর উন্নয়ন’ বিষয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় নগর উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “অনেক তাত্ত্বিক আলোচনা হয়েছে। এখন সময় বাস্তব ফল দেখানোর। চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত দেখতে চাই। এটি একদিনে হবে না, তবে অগ্রগতি দৃশ্যমান না হলে পূর্ববর্তী সব প্রচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।”
তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা কেবল একটি স্থানীয় সমস্যা নয়, এটি একটি প্রতীকী সংকট। এর কার্যকর সমাধান হলে দেশের অন্য শহরগুলোকেও উৎসাহিত করবে। চট্টগ্রামকে হতে হবে একটি দৃষ্টান্ত।”
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রত্যেক সংস্থাকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সক্রিয় থাকতে হবে। একইসঙ্গে নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “চট্টগ্রামের যে সক্ষমতা রয়েছে, তা দেশের অনেক শহরের নেই। এখন দরকার সেই সক্ষমতার সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিডা প্রতিনিধি চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজি মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
