মো. আরকান, পেকুয়া:
পেকুয়ায় নিখোঁজ স্কুল শিক্ষক মো. আরিফের (৪৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে তার বসতবাড়ির আঙিনার একটি পরিত্যক্ত জলাশয় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে প্রতিবেশি বাবুলের ছেলে কিশোর মো. ছোটন পরিত্যক্ত জলাশয়ে বড়শি ফেলতে গেলে নাকে দুর্গন্ধ লাগে। সে বিষয়টি আশেপাশের লোকজনকে জানালে তাঁরা এসে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পান এবং শিক্ষক আরিফের মৃতদেহ সনাক্ত করেন। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশের সঙ্গে ইট বাঁধা ছিল।
এ খবর জানাজানি হলে অপহৃত শিক্ষকের হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিক্ষুব্ধ লোকজন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করেছেন।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে পেকুয়া চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে থেকে মো. আরিফ নিখোঁজ হন। তিনি স্থানীয় পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মাতবরপাড়া এলাকার বজল আহমদের ছেলে।
শিক্ষক আরিফের পরিবারের লোকজন বলেন, “২৮ সেপ্টেম্বর পেকুয়া চৌমুহনী থেকে অপহৃত হওয়ার পর অপহরণকারীরা প্রথমে ৩৫ পরে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আরিফের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে এই মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। সর্বশেষ গত বুধবার পর্যন্ত অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করে পরিবারের কাছে।
শিক্ষক আরিফের ছোট ভাই রিয়াদুল ইসলাম বলেন, “জায়গাজমির বিরোধের কারণে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর ভাইয়েরা আমার ভাইকে অপহরণের পর গুম করে রেখে হত্যা করেছে। হত্যার পর পায়ের সঙ্গে ইট বেঁধে দিয়ে আমাদের বাড়ির আঙিনার পরিত্যক্ত পুকুরে লাশ ফেলে দিয়েছে”।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, “লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে”। এ ঘটনায় চাঁদপুর থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে।
ওসি বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে চার–পাঁচ দিন আগে ওই শিক্ষককে হত্যার পর ইট বেঁধে লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে”।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।