আব্দুস সালাম,টেকনাফ:
টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গর পাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে মো. ইসমাইল (২১) নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. ইসমাইল পেশায় একজন জেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, বিকালে জালের বিষয়কে কেন্দ্র করে রশিদ আহমদের ছেলে মো. ইসমাইলের সঙ্গে একই এলাকার সোনালীর ছেলে নুরুর কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উভয়জনকে পরে সালিশ হবে বলে মীমাংসা করে দেয়।
এরপর রাতে মো. ইসমাইল প্রজেক্ট থেকে জাল নিয়ে আসার সময় তার বাড়ির কাছেই আগে থেকে উৎপেতে থাকা
শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গর পাড়া এলাকার সোনালীর ছেলে নুরু
মো. ইসমাইলকে পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় নুরুর পিতা মৃত কালা মিয়ার ছেলে সোনালী,সোনালীর ছেলে মনজুর,তার মেয়ের জামাই আব্দুর রহমান,মেয়ে মমতাজ বেগম,নাতিন জামাই মাঝের পাড়ার জালাল আহমদের ছেলে রশিদ উল্লাহসহ বেশকয়েকজন মিলে লাঠিসোটা ও লোহার রড নিয়ে মো. ইসমালকে আঘাত করে গুরুতর আহত করে বীরদর্পে চলে যায়।
ইসমাইলের শোর-চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসমাইলের অবস্থার বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। কক্সবাজার নেওয়ার পথিমধ্যেই মো. ইসমাইলের মৃত্যু ঘটে।

মো. ইসমাইলের পিতা ছেলে রশিদ আহমদ বলেন, সোনালীর ছেলে ‘নুরু আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

মো. ইসমাইলের স্ত্রী জয়নব বলেন, ‘সামান্য কথা-কাটাকাটির জের ধরে আমার স্বামীকে মেরে ফেলা হয়েছে।’আমি আমার স্বামী হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের এনে ফাঁসির দাবী জানাচ্ছি।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাফিজুর রনমান বলেন, নিহতের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছ। হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।