আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
থাইল্যান্ডের থ্যাম লুয়াং গুহা থেকে স্থানীয় ফুটবল দল উইল্ড বোরের ১২ সদস্য ও তাদের কোচকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনদিনের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের শেষদিন মঙ্গলবার কোচসহ অন্য চার কিশোরকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে থাই নেভি সিল।

মঙ্গলবার অভিযানের তৃতীয়দিনে গুহা থেকে নবম, দশম এবং এগারোতম কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। থাই নেভি সিলের ফেসবুক পেইজে অভিযানের শেষ দিন মঙ্গলবার উল্লেখ করে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘উইল্ড বোরের নবম সদস্যকে বিকেল ৪টা ৬ মিনিটে গুহা থেকে বাইরে আনা হয়েছে।’

এর কিছুক্ষণ পর দশম কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। পরে ৫টা ৮ মিনিটে উদ্ধারকারীরা ১১তম কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে গুহা থেকে বের হন। তবে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গুহায় আটকা কিশোর ফুটবল দলের আরো এক সদস্য ও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ এখনো সেখানে আটকা রয়েছেন। এ দুজনকেও আজ উদ্ধার করা হবে বলে থাই নেভি সিল জানিয়েছে।

উদ্ধার অভিযানের দায়িত্বে থাকা থাই নেভি সিল বলছে, গুহায় আটকা সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে। অসাধারণ এবং কষ্টদায়ক এই অভিযান শেষ হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে নেভি সিল।

ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে থাই নেভি সিল বলছে, ‘১২ উইল্ড বোর ও তাদের কোচ এখন গুহার বাইরে। সবাই নিরাপদ।’

থাই নেভি সিলের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘২০ মিনিটের ব্যবধানে ১০ম এবং এগারোতম কিশোরকে বের করা হয়। এর আগে রোববার ও সোমবার দুই দফায় অভিযান চালিয়ে ৮ কিশোরকে গুহা থেকে উদ্ধার করা হয়।

দেশটির উত্তরাঞ্চলের চিয়াং রাই প্রদেশের গুহায় আটকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারে ১৩ বিদেশি ডুবুরি ও থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর অভিজাত শাখা থাই নেভি সিলের পাঁচ সদস্য কাজ করছেন। এছাড়া গুহার ভেতরে ও প্রবেশ পথে আরো অন্তত ৯০ জন ডুবুরি উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত আছেন। গত ২৩ জুন থেকে গুহায় আটকা ১২ কিশোর ও তাদের কোচ আটকা ছিলেন।

গুহায় আটকা কিশোরদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছর। দীর্ঘ প্রায় ৪ কিলোমিটার সংকীর্ণ ও উঁচু-নিচু জলমগ্ন পথ পাড়ি দিয়ে কিশোরদের উদ্ধারে রোববার অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিকে থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, গুহায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় ও বর্ষা মৌসুমে বর্ষণের কারণে তাদের এখনই উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের উদ্ধারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

কিন্তু রোববার নাটকীয়ভাবে বন্যার পানি কিছুটা কমে যাওয়ায় এবং বর্ষণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ন্যারংস্যাক ওসোত্তানাকর্ন জানান, কিশোরদের উদ্ধারে এখনই উপযুক্ত সময়।