সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারের প্রায় ২কিলোমিটার অংশে দু’পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় হাটু পানি জমে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় যানজট। আর এ যানজটে আটকে ছোট বড় যানবাহনসহ পথচারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। ডিসি সড়কের দু’পাশের সরকারী নালা অপরিকল্পিত ভাবে ভরাট করায় এবং গত কয়েক দিনের টানাবর্ষনে বাজার এলাকার বেশ ক’টি পয়েন্টে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদগাঁও বাজার এখন জলাবদ্ধ এলাকায় পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানকার ডিসি সড়ক, চাল বাজার, কাপড়ের গলি, হাসপাতাল সড়ক ১ফুট থেকে দেড় ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। আর গত কয়েক দিনের টানাবর্ষণে মনে হয় বাজারের ভেতর দিয়ে ছোট নদী বয়ে গেছে। সড়ক না ছোট নদী তা দেখে বোঝার উপায় নেই। বাজারে একাধিক সড়ক, গলি মোড় প্রায় ১কিলোমিটার জায়গা সরকারী নালা অপরিকল্পিতভাবে ভরাট করায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

এসব জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে দেখা যায়, বাজারের ডিসি সড়কের উল্লেখিত ১ কিমি অংশের সরকারী নালা অপরিকল্পিত ভরাট এবং দু’পাশের স্থাপনা গুলো সড়ক হতে উচু হওয়ায় এবং বাসা বাড়ীর ব্যবহৃত পানি নিস্কাসনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিসহ সব সড়কের উপর জমাট হয়। বাজারের সরকারী জলাশয় ও নালা দখল করে প্রভাবশালীদের স্থাপনা নির্মাণ করা, ময়লার স্তুপ দিয়ে খালের মুখ বন্ধ করা, এবং অপরিকল্পিতভাবে মাছ, তরকারি বাজারের পুরনো ড্রেনের উপর দোকানপাট বসানোর ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই এ জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেয় বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, ডিসি সড়কের পাশের সরকারী নালা মার্কেটের মালিকরা অপরিকল্পিতভাবে ভরাট করায় আমরা স্থায়ী জলাবদ্ধতার মুখে পড়েছি। সড়কের দু’পাশে ড্রেন নির্মান ছাড়া এ জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রানের কোন উপায় নাই। তারা আরো বলেন প্রতি সপ্তাহে ড্রেন গুলো পরিস্কার করেও জলাবদ্ধতা দুর করা যাচ্ছেনা। কারণ মাছ ও সবজি বাজারে ড্রেন নির্মান না করেই রাস্তা পাকা করায় এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবেনা। এ কারনে চাল,কাপড়ের গলি,হাসপাতাল সড়কে সব সময় পানি জমে থাকে। মুলত: বাজারের ব্যবসায়ীরা সচেতন হলে ড্রেনে ভিতর আবর্জনা, পলিথিন না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখলে এ জলাবদ্ধতা রোধ করা যাবে বলে তারা দাবী করেন।